![সবজি](https://i0.wp.com/inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2019/11/%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A6%9C%E0%A6%BF.jpg?resize=788%2C456&ssl=1)
জুমবাংলা ডেস্ক: আগাম জাতের সবজি চাষ অধিক লাভজনক হওয়ায় জয়পুরহাট জেলায় আগাম জাতের বিভিন্ন সবজির চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় ২০২১-২০২২ মৌসুমে আগাম জাতের বিভিন্ন সবজির চাষ হয়েছে ৩ হাজার হেক্টর। আগাম জাতের সবজি চাষ অধিক লাভজনক হওয়ার কারণে কৃষকরা এ সবজি চাষে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছেন। জেলার পাঁচ উপজেলায় এবার আগাম জাতের সবজি চাষের মধ্যে রয়েছে বেগুন ৫শ হেক্টর, করলা ২শ হেক্টর, মূলা ৪৫০ হেক্টর, লাল শাক ২শ হেক্টর, লাউ ২শ হেক্টর, শিম ২৫০ হেক্টর, পটল ৪শ হেক্টর, শসা ৩শ, বাধাঁ কপি ১শ ও ফুল কপি ১২৫ হেক্টর, পেঁয়াজ ১১০ হেক্টর সহ শাক সবজি রয়েছে ৩ হাজার ২শ হেক্টর। এ ছাড়া আগাম জাতের আলু রয়েছে ১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে।
সদর উপজেলার ভানাই কুশলিয়া গ্রামের জহুরুল ইসলাম বলেন গত বছর ৩০ শতাংশ জমিতে আগাম জাতের আলু ও বেগুন চাষ করে ৭০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। সে কারণে এবারও আলু ও বেগুন চাষ করেছেন অধিক লাভের আশায়। একই এলাকার ছানোয়ার হোসেন এবার সাড়ে তিন বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করেছেন বলে জানান।
পারুলিয়া গ্রামের এরশাদ, ইউনুস আলী, এন্তাজুল জানান, গত বছর কপিতে অধিক লাভ হওয়ায় এবার সাড়ে তিন বিঘা জমিতে আগাম জাতের কপি চাষ করেছেন। বর্তমান জয়পুরহাটের হাট-বাজার গুলোতে বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, মূলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো: শফিকুল ইসলাম জানান, আগাম জাতের সবজি চাষে কৃষকরা অধিকহারে লাভবান হওয়ায় জেলায় আগাম জাতের সবজি চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাজারে প্রথম পর্যায়ে সবজি নিয়ে আসার ক্ষেত্রে কৃষকদের মাঝে প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।-বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।