জুমবাংলা ডেস্ক : পটুয়াখালীর গলাচিপায় এবার আগাম তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে অধিক লাভের আশা করছেন উপজেলার তরমুজ চাষিরা।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, এ উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে রসালো সুস্বাদু মিষ্টি তরমুজ চাষ। গত বছর বাজার দর ভালো পাওয়ায় এ বছর আরও বেশি জমিতে এ ফল আবাদ করেছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। এখানকার তরমুজ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ব্যবসায়ীরা সরবরাহ করছেন রাজধানী ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
কৃষি বিভাগ জানায়, অসময়ে বৃষ্টিপাত ও ঘন কুয়াশার কারণে কিছুটা ক্ষতি হলেও সার্বিকভাবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপজেলার বেশিরভাগ ইউনিয়নে তরমুজের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। সরেজমিন দেখা যায়, গলাচিপা পৌর শহরের রামনাবাদ নদীর তীরে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সবুজের সমাহার।
উপজেলার গলাচিপা সদর, কলাগাছিয়া, গজালিয়া, রতনদী তালতলী, পানপট্টি, ডাকুয়া, চর কাজল ও চর বিশ্বাস ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে তরমুজ আবাদ করা হয়েছে। বড় আকারের প্রতিটি তরমুজ ৭ থেকে ৮ কেজি পর্যন্ত হয়েছে। মাঠজুড়ে খেতে রসালো তরমুজের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে সুখের হাসি। অধিক লাভের স্বপ্নে বিভোর কৃষকরা।
চাষিরা জানান, গত বছরের তুলনায় সার, বীজ, কীটনাশক ও তেলের দাম বেশি হওয়ায় খরচ অনেক বেড়ে গেছে। চর বিশ্বাস ইউনিয়নের কৃষক মাহাবুব সিকদার জানান, তিনি এ বছর সাড়ে ৭ একর জমিতে আগাম তরমুজ চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে ১০ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন।
তিনি বলেন, বৈরী আবহাওয়া, অকাল বৃষ্টি ও ঘন কুয়াশায় ছোট ছোট ফলগুলো জ্বলে মাটিতে পড়ে যায়। কুয়াশায় ঢেকে যায় ফলের উপরিভাগ। বৃষ্টির পানিতে জমির মাটি থাকে ভেজা। যার কারণে তরমুজ চাষিরা ক্ষতির মুখে পড়ে যায়। গাছের বয়স বেশি হয়ে গেলে ফল না আসা পর্যন্ত পুনরায় তরমুজ গাছ তাজা রাখতে কীটনাশক ও সার ব্যবহার করতে হয়। ফলে তরমুজ চাষিদের দ্বিগুণ টাকা খরচ করতে হয়, অনেকেরই গুনতে হয় লোকসান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজু আক্তার বলেন, অসময়ে বৃষ্টি ও ঘন কুয়াশার কারণে কিছু কিছু এলাকায় সামান্য ক্ষতি হলেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তরমুজ চাষিদের কোনো বড় ধরনের সমস্যা হয়নি। গলাচিপায় এবার তরমুজের বাম্পার ফলনের আশা করছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।