জুমবাংলা ডেস্ক: সোহানা সাবরিন ইভা। একটি নাম নয় একটি প্রতিভা বলা যায়। বহুগুণে গুণান্নিত সোহানা সাবরিন ইভা ফ্যাশন সচেতন উপস্থাপিকা হিসেবে পরিচিত হলেও পারদর্শিতা রেখেছেন ফ্যাশন ডিজাইনার ও ইন্টেরিওর ডিজাইনার হিসেবে। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বড় ভাই ড. নাদিম আহমেদ এর উৎসাহে মিডিয়ায় পা রেখে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বিগত প্রায় ১০ বছর যাবৎ। পরিবারে চার ভাই-বোনের সবার ছোট সোহানা। ইভার সাথে ক্যারিয়ার ও বাস্তবতা নিয়ে কথা বলেন এক জনপ্রিয় অনলাইনের প্রতিবেদকের সাথে।
যুগের চাহিদা মেটাতেই তৈরি হচ্ছে নানা সৃজনশীল পেশার ক্ষেত্র। এমনই একটি যুগোপযোগী পেশা ফ্যাশন ডিজাইনিং। কিছুদিন আগেও ফ্যাশন ডিজাইন সম্পর্কে মানুষের তেমন ধারণা ছিল না। তবে এখন সে অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। মানুষ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন অনেক সৌন্দর্য সচেতন। আর এই সৌন্দর্য সচেতন মানুষদের স্টাইলিশ পোশাকের চাহিদা মিটিয়ে থাকেন ফ্যাশন ডিজাইনাররা। তাই এ সময়ের তরুণ তরুণীদের মধ্যে পোশাক সম্পর্কে যেমন রয়েছে সচেতনতা রয়েছে, তেমনি ফ্যাশন ডিজাইনে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহও বাড়ছে।
ফ্যাশন নিয়ে সোহানা জানান, ফ্যাশনের দিকটা বর্তমান আমার কাছে মনে হয়, দেশে রুচিশীল ফ্যাশন ডিজাইনারের অভাব। আমরা ভিনদেশী পোশাকের প্রতি একটু বেশী নজর দিতে শুরু করেছি। এতে করে আমাদের ঐতিয্য হুমকির মুখে। আমি বলছি না আপনাকে হিজাব-নিকাব পড়েই ঘুরতে হবে। তবে, কালার কম্বিনেশনটা তো ঠিক রাখুন। আপনাকে কোন ড্রেসটাতে পারফেক্ট লাগবে তা নির্ধারণ করুণ। হুট করে একটি ড্রেস পরেই বের হবেন না। আমি মনে করি আপনি যখন সেলিব্রিটি হবেন তখন আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে আপনার প্রতিটা কদম গুণে গুণে চলতে হবে। আপনাকে অনুসরণ করছে অনেকেই।
উপস্থাপনা নিয়ে সাবরিন ইভা বলেন, যদি কেউ উপস্থাপনায় আসতে চায় আমি তাদের একটি কথাই বলতে চাই প্রচুর পড়ুন। টেলিভিশনে উপস্থাপনা অনুসরণ করুন এবং বাসায় বসে অনুশীলন করুন। যে বিষয়ের ওপর উপস্থাপনা করতে চান সেগুলো নিয়ে প্রচুর জানুন। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলো নিয়েও নজর রাখুন। প্রতিটা পেশায় ভালো-মন্দ দিক রয়েছে। মিডিয়ায় কাজ করা মানে আপনাকে সর্বদাই পরিক্ষার হলের মাঝে থাকতে হবে। আপনি যত ভালো পরিক্ষা দিবেন ততই রেজাল্ট আপনার পক্ষে কথা বলবে। আমি নিজের দিক থেকে বলতে পারি এখন পর্যন্ত কোনো বাজে পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়নি। নিজে সৎ থাকলে সবকিছুই ঠিক থাকে।
তিনি আরও বলেন, আমার সবচেয়ে পজেটিভ দিক হচ্ছে, আমি সর্বদাই পরিবারের থেকে সব সবসময়ই সমর্থন পেয়েছি। বিশেষ করে আমার বড় ভাই চিকিৎসক নাদিম আহম্মেদ তিনি অনেক সহযোগিতা করেছেন। তিনি সহযোগিতা না করলে হয়তো এতদূর আসতে পারতাম না। বড় ভাই আমেরিকায় থাকেন। তিনি সেখানকার চিকিৎসক। আমার ক্যারিয়ারে তার অবদান সবচেয়ে বেশি। এছাড়া মিডিয়াতে যার অনুপ্রেরণায় কাজ করছি তিনি হচ্ছেন বশিউর আলম নান্নু ভাই।
উল্লেখ্য, ছোটবেলা থেকে প্রচুর ছবি আঁকা ও আবৃত্তি করা, টিভিতে উপস্থাপনা দেখে অনুসরণ করা ও নিজেই ঘরে বসে অনুশীলন করা মেয়েটি এখন আইডল হিসেবে অবস্থান করছেন সহস্র মানুষের মনে। বর্তমানে টিভিসি করে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন সোহানা। নাটকে অভিনয়ের জন্য প্রস্তাব পেলেও মন মত গল্প না পাওয়ায় ছোটপর্দায় প্রবেশ করা হয়নি সোহানা সাবরিন ইভার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।