আবারও ট্র্যাক পরিবর্তন: কোন পথে আগাতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’?
জুমবাংলা ডেস্ক : দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি দক্ষিণ আন্দামান সাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় মোকা বাংলাদেশের দিকে আসার সম্ভাবনা নেই। এটি মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে সম্প্রতি জানিয়েছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ গবেষক ড. বিশ্বজিৎ নাথ।
এবার তিনি জানালেন ট্র্যাক পরিবর্তন করে এই ঘূর্ণিঝড়টি আসতে যাচ্ছে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে। যা কক্সবাজার, মহেশখালী, সোনাদিয়া দ্বীপ, বাঁশখালী, চকোরিয়া এলাকা, সেন্টমার্টিন ও কুতুবদিয়া দ্বীপে প্রবলভাবে আঘাত করতে পারে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার (৯ মে) নিজের ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এই তথ্য জানান। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগের গতিপ্রকৃতি নিয়ে গবেষণা করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক। গেল কয়েকবছর ধরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট দুর্যোগের বিষয়ে তার দেওয়া আগ্রিম পূর্বাভাসের বেশ মিল পাওয়া গেছে।
গত শুক্রবার বাংলাভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ড. বিশ্বজিৎ নাথ জানিয়েছিলেন, তার আগেরদিন বঙ্গোপসাগরে সংঘটিত একটি ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্টি হতে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়টি নানান দিকে মোড় নিতে পারে। সেদিনের মডেল পূর্বাভাস অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় মোকা মিয়ানমারের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলেও জানান তিনি।
তবে মঙ্গলবার ফেসবুকে দেওয়া তিনি লিখেছেন, মধ্য বঙ্গোপসাগরে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের কারণে এবং সাগরীয় সঞ্চালন সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের ট্র্যাক সংশোধন করা হয়েছে এবং পুনরায় পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
পটভূমি উল্লেখ করে তিনি লিখেন, হিমাওয়ারী ৯ রিয়েল টাইম মেটিওরোলজিক্যাল স্যান্ডউইচ ইমেজ নিম্নচাপ এলাকা (কালো বৃত্ত) গঠন চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত হয়। Windy.com-এর বর্তমান মডেল প্রজেকশন অনুযায়ী নিম্নচাপ থেকে এটি সুপার সাইক্লোন হিসেবে সর্বোচ্চ পরিণত হবে। দমকা বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে ২৪০-২৪৫ কিমি/ঘণ্টা, একটি ক্যাটাগরি ৪ ঘূর্ণিঝড়। এটি স্থলভাগের সময় পর্যন্ত বাতাসের তীব্র গতি বজায় রাখলে চট্টগ্রাম উপকূলীয় এলাকায় বিশেষ করে কক্সবাজার, মহেশখালী, সোনাদিয়া দ্বীপ, বাঁশখালী, চকোরিয়া এলাকা, সেন্টমার্টিন ও কুতুবদিয়া দ্বীপে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের সাথে সর্বাধিক ক্ষতি পরিলক্ষিত হবে।
স্যাটেলাইট ছবির বর্ণনা দিয়ে বলা হয়, ছবির সাদা বৃত্ত এলাকা এই সুপার সাইক্লোন ‘মোকা’ দ্বারা প্রবর্তিত প্রভাব অঞ্চল হবে।
১৫ মে ভোর ৫টা থেকে ৬টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে পৌঁছাতে পারে বলে জানিয়ে ১০ থেকে ১৫ মে এর মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় সব ধরনের নৌযান চলাচল, মাছ ধরা এবং পর্যটন কার্যক্রম স্থগিত রাখার পরামর্শ দেন তিনি। ১৬ মে-এর পর সাগরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলেও জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।