জুমবাংলা ডেস্ক : আজ (২৬ মার্চ )বুধবার সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তাপমাত্রা বাড়ার কারণে গরম আরও বাড়তে পারে। এছাড়া বিচ্ছিন্নভাবে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনাও রয়েছে।
বুধবার (২৬ মার্চ) আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়া অফিস জানায়, চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত তাপমাত্রা কমে যাওয়া কিংবা বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। এতে করে গরম আরও বাড়বে। সেইসঙ্গে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সেইসঙ্গে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
আগামী বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সেইসঙ্গে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এ ছাড়া আগামী পাঁচ দিনে আবহাওয়া পরিস্থিতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশে তাপমাত্রার পরিবর্তন: আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতি
বর্তমানে বাংলাদেশে তাপমাত্রার পরিবর্তন নিয়ে জনগণের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা চলছে। সাম্প্রতিক আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে, যা জনজীবনে প্রভাব ফেলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ুর পরিবর্তন এবং মৌসুমী বায়ুর পার্থক্যের কারণে তাপমাত্রার এই ওঠানামা ঘটছে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রার বর্তমান অবস্থা
বাংলাদেশের উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব এবং পশ্চিম অঞ্চলে তাপমাত্রার তারতম্য দেখা যাচ্ছে। রাজধানী ঢাকায় দিনের বেলায় তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। চট্টগ্রাম এবং খুলনা অঞ্চলেও তাপমাত্রা তুলনামূলক বেশি রয়েছে। তবে সিলেট অঞ্চলে কিছুটা শীতল আবহাওয়া বজায় থাকলেও বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে গরম অনুভূত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রার আরও বৃদ্ধি ঘটতে পারে।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ ও প্রভাব
তাপমাত্রার এই বৃদ্ধির পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। একদিকে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বব্যাপী গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে শহরাঞ্চলে অতিরিক্ত কংক্রিটের ব্যবহার এবং বনভূমি ধ্বংসের কারণে স্থানীয় উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এর প্রভাব মানুষের স্বাস্থ্যের ওপরও পড়ছে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক এবং অসুস্থ ব্যক্তিরা এই উচ্চ তাপমাত্রার কারণে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। হিটস্ট্রোক, পানিশূন্যতা এবং ত্বকের রোগের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এছাড়া কৃষি ক্ষেত্রেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, বিশেষ করে ধান ও অন্যান্য ফসলের উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তাপমাত্রা কমানোর জন্য করণীয়
উচ্চ তাপমাত্রা থেকে রক্ষা পেতে ব্যক্তিগত এবং সামগ্রিকভাবে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। ব্যক্তিগতভাবে প্রচুর পানি পান করা, হালকা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরা এবং সূর্যের অতিরিক্ত তাপে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নগর এলাকায় সবুজায়ন বৃদ্ধি করা, পরিবেশবান্ধব নীতিমালা গ্রহণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী সপ্তাহে দেশের কিছু স্থানে বৃষ্টিপাত হতে পারে, যা তাপমাত্রা কিছুটা কমাতে সাহায্য করবে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ছাড়া তাপমাত্রার সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলায় টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি।
সারসংক্ষেপ
বাংলাদেশে তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়ছে, যা জনজীবন এবং পরিবেশের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি, নগরায়ন এবং বনভূমি ধ্বংসের ফলে এই পরিবর্তন আরও তীব্র হচ্ছে। ব্যক্তি ও সরকার পর্যায়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তাপমাত্রার নেতিবাচক প্রভাব কমানো সম্ভব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।