আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আজকের দিনে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ মোবাইল ফোন। ব্যাংকিং থেকে শুরু করে বাজার, সবই এখন মোবাইলের মাধ্যমেই চলছে। তবে মানুষের হাতে হাতে মোবাইল এসেছে তা কিন্তু খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। তিন দশক আগে উন্নত দেশগুলোতে মাত্র এর প্রচলন শুরু হয়। আর তারও আগে এটি ছিল ‘ভবিষ্যতের প্রযুক্তি’।
তবে সম্প্রতি ১৯৬৩ সালে সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি খবরের ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে। ওই আর্টিকেলে লেখক তার ধারণার কথা জানিয়ে বলেছেন, ভবিষ্যতে এমন একটি সময় আসবে যখন মানুষ যেখান থেকে খুশি সেখান থেকেই ফোনে কথা বলতে পারবে। অথচ ওই সময়েরও কয়েক দশক পর প্রথম মোবাইল ফোন আসে। মূলত পত্রিকাটি ছিল ম্যানসফিল্ড টেলিফোন কোম্পানির। তাদের নিউজ-জার্নালে ওই বছরের ১৮ এপ্রিল একটি ফোনের ছবিসহ প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটিকে ভবিষ্যৎ মোবাইল ফোন নিয়ে প্রাচীনতম সংবাদ প্রতিবেদন বলা যেতে পারে।
সেখানে বলা হয়, কোম্পানিটি এমন একটি ফোন তৈরি করছে যেটি পকেটে বহন করা যাবে। ওই ছবিটি দেখতেও অনেকটা এখনকার মোবাইল ফোনের মতই।
সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, শিগগিরই এমন টেলিফোন আসবে যেটি মানুষ পকেটে বহন করতে পারবে। অবশ্য এটি কালই বাজারে এসে পড়বে এমনটি ভাবা ঠিক হবে না। কোম্পানির কমার্শিয়াল ব্যবস্থাপক ফ্রেডেরিক হান্টসম্যান বলেন, অদূর ভবিষ্যতে এই টেলিফোনের বাণিজ্যিক উৎপাদন সম্ভব হবে। এই টেলিফোনের বাহক যে কোনো স্থান থেকে কল করতে বা রিসিভ করতে পারবেন। এ ছাড়া ভবিষ্যতে এর সঙ্গে যুক্ত হবে লাউডস্পিকার, সঙ্গে থাকবে ছবি দেখার ব্যবস্থা। গৃহিণীরা এটিকে ইন্টারকম স্টেশন হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন।
এরইমধ্যে এই আর্টিকেলের ছবি টুইটারে ভাইরাল হয়েছে। তাতে নানারকম কমেন্ট করে মানুষ বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। একজন লিখেছেন, তখনকার মানুষ কীভাবে ভাবতো জানতে পারা দারুণ ব্যাপার। আরেকজন লিখেছেন, ১৯৬০ এর দশকে আমার বাবা আমাকে নিয়ে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি জাদুঘরে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে ভবিষ্যতের বিশ্ব কেমন হবে তা নানাভাবে প্রদর্শন করা হচ্ছিল। সেখানেই আমি প্রথম দেখি যে ভবিষ্যতে মানুষ যখন দূরে কারও সঙ্গে কথা বলবে তখন তার ছবি দেখতে পাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।