জুমবাংলা ডেস্ক: রাজধানীর দক্ষিণখানে মসজিদের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার পরিকল্পনাকারী ভুক্তভোগী আজহারের স্ত্রী আসমা আক্তার ও মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রহমান দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
রবিবার (৩০ মে) পাঁচ দিনের রিমান্ড চলাকালে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন তারা। এরপর তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার উপ-পরিদর্শক অনুজ কুমার সরকার।
আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মন্ডল আজহারুলের স্ত্রী আসমার এবং ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমান ইমাম আসামি আব্দুর রহমানের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে গত ২৬ মে তাদেরকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের ১০ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম নিভানা খায়ের জেসী তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২৫ মে দক্ষিণখানের সরদারবাড়ি জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রহমানকে এবং সন্ধ্যায় রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী নিহত আজহারের স্ত্রী আসমা আক্তারকে গ্রেফতার করে র্যাব।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, দক্ষিণখানের বাসিন্দা আজহারের স্ত্রীর প্রতি কুনজর ছিল মাওলানা আব্দুর রহমানের। বিষয়টি জানার পর তাকে নিষেধ করতে মসজিদে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে যাওয়ার পর বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ছুরি দিয়ে আজহারের গলায় আঘাত করেন আব্দুর রহমান। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর আজহারের মরদেহ ছয় টুকরা করা হয়। এরপর মসজিদের সেপটিক ট্যাঙ্কে মরদেহের টুকরোগুলো লুকিয়ে রাখেন আব্দুর রহমান। ইমাম। ইমাম পুরো কাজটি করেন দক্ষিণখানের সরদার বাড়ি জামে মসজিদে তার শয়ন কক্ষে।
র্যাব বলছে, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন নিহত আজহারের স্ত্রী আসমা আক্তার (২২)। তার পরিকল্পনায় ও নির্দেশনায় আজহারকে হত্যা করেন মাওলানা আব্দুর রহমান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।