জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর গুলশানে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ ও ক্যাসিনো সামগ্রী জব্দের ঘটনায় মামলা করছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। মামলায় বহুল আলোচিত-সমালোচিত ওই ব্যবসায়ীর ভাতিজা ওমর মোহাম্মদ ভাইকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে এ বিষয়ে অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, মামলায় ওমরকে একটিতে আসামি করা হয়েছে। দুই বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা দুই তত্ত্বাবধায়ককে আসামি করে আরেকটি মামলা করা হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে মামলায় আসামি করা না হলেও মামলার বিবরণে ওই চলচ্চিত্র প্রযোজকের নাম থাকছে। শুধু আজিজ মোহাম্মদ ভাই নন, তার স্ত্রীর নামও বিবরণীতে রাখা হয়েছে। তদন্ত হবে। তদন্তে যদি তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে অবশ্যই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। তবে আপাতত তাদের আসামি করা হয়নি।
রোববার গুলশানে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের বাসায় অভিযান চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। সেখানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও ক্যাসিনোর সরঞ্জাম পাওয়া যায়। আটক করা হয় দুজনকে।
অভিযোগ আছে, ১৯৯৭ সালে জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর পর যে কয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল তাদের মধ্যে অন্যতম আজিজ মোহাম্মদ ভাই। সালমান শাহের মৃত্যুর দুই বছর পর ১৯৯৯ সালে ঢাকা ক্লাবে খুন করা হয় আরেক চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে। এ হত্যাকাণ্ডেও আজিজ মোহাম্মদ ভাই বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।
রহস্যময় এক ব্যক্তির নাম আজিজ মোহাম্মদ ভাই। তিনি সপরিবারে থাইল্যান্ডে থাকেন। সেখান থেকেই বাংলাদেশে মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করেন তিনি। গুলশানের বাসাটির দেখাশোনা করেন তার ভাই। ৫০টির মতো চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন আজিজ মোহাম্মদ ভাই।
১৯৪৭ এ দেশভাগের পর ভারতের গুজরাট থেকে বাংলাদেশে আসে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের পরিবার। তারা পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় বসবাস শুরু করেন। ১৯৬২ সালে জন্ম হয় আজিজ মোহম্মদ ভাইয়ের। বাংলাদেশে তার কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।