বিনোদন ডেস্ক : আজ ৬ সেপ্টেম্বর কালজয়ী চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন ওরফে সালমান শাহ’র ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। কিন্তু সেদিন তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছিল, ২৮ বছর পর আজও জানা গেলো না সেই রহস্য। মামলার তদন্তভার বারবার বদল হলেও, এখনও রয়ে গেছে ধোঁয়াশা।
১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে পা রাখেন সালমান শাহ। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত মাত্র সাড়ে তিন বছরে উপহার দেন ২৭টি ব্যবসাসফল ছবি। তবে ধূমকেতুর মতো আসা এই মহানায়কের ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর হঠাৎ মৃত্যুর খবরে হতবাক হয়ে যায় গোটা দেশের মানুষ।
ঘটনার দিন রাজধানীর রমনা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন সালমান শাহর বাবা প্রয়াত কমর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী। কিন্তু মৃত্যুর এক বছর না যেতেই ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে, এমন অভিযোগ এনে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তর করার আবেদন জানান আদালতে। এতে সালমান শাহর মৃত্যুরহস্যে নতুন মোড় নেয়।
ছেলে আত্মহত্যা করেছিল, নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছিল, তা না জানার কষ্ট বুকে নিয়ে ছয় বছর পর ২০০২ সালে মারা যান বাবা কমর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
সালমান শাহর মৃত্যুর দুই যুগ পর এখনও তার আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা ও আবেদন রয়ে গেছে ভক্তকুলের কাছে। তার বাবার মতো ২৭ বছর ধরে তার ভক্তদের মনে আজও প্রশ্ন, সালমান সেদিন আত্মহত্যা করেছিলেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছিল? কয়েক দফা তদন্তে সালমান শাহের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হলেও, এখনও মেনে নিতে পারেননি তার পরিবার ও ভক্তরা।
কী ঘটেছিল সেদিন?
সিনেমায় সালমান শাহর জনপ্রিয়তা ও খ্যাতি তখন মধ্যগগনে। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সকালে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন গার্ডেন এলাকায় ভাড়া বাসায় পাওয়া যায় সালমান শাহর মরদেহ। স্ত্রী সামিরা হক পুলিশকে কল করে জানান, ড্রেসিংরুমের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে সালমানকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন তারা। সেখান থেকে তার দেহ নামিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
ওই দিনই রাজধানীর রমনা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন সালমান শাহর বাবা কমর উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সালমানের বাসায় ছেলের সঙ্গে দেখা করতে যান। কিন্তু সালমানের ব্যক্তিগত সহকারী আবুল ও স্ত্রী সামিরা বলেন, ‘সালমান রাত জেগে কাজ করেছেন। এখন তাকে ঘুম থেকে ডাকা যাবে না।’
প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে বাসায় ফিরে আসেন কমর উদ্দিন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেলিম নামের একজন তাকে ফোন করে জানান, সালমানের কী যেন হয়েছে। সালমানের বাবা, মা ও ভাই দ্রুত সালমানের বাসায় ছুটে গেলে শয়নকক্ষে সালমানের নিথর দেহ দেখতে পান তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।