আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জনগণের প্রতি সংহতি জানাতে ‘কাশ্মীর আওয়ার’ কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছে পাকিস্তান।
শুক্রবার দুপুরে আধা ঘণ্টার জন্য কাশ্মীরিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে এ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
ডন জানায়, পাক প্রধানমন্ত্রীর এই আহ্বানের সাড়া দিয়ে শুক্রবার ১২টায় ‘কাশ্মীর আওয়ার’ পালন করবে পাকিস্তানের জনগণ।
বৃহস্পতিবার রাতে এক টুইটার বার্তায় ইমরান খান বলেন, ‘আগামীকাল (শুক্রবার) দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করতে পাকিস্তানিদের আহ্বান করছি।’
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে তাদের প্রতি আমরা এই বার্তা পৌঁছে দেব যে, পুরো পাকিস্তানি জাতি তাদের পাশে আছে এবং সেখানে ভারতের ফ্যাসিবাদী সরকারের নিপীড়ন, অমানবিক কারফিউ আরোপ, সেখানকার নারী ও শিশুসহ প্রতিদিন মানুষকে হত্যা ও আহত করা এবং অঞ্চলটির ওপর মোদি সরকারের অবৈধ হস্তক্ষেপ ও জাতিগত নিধনের সব ধরনের এজেন্ডার বিপক্ষে আমরা।’
ইমরান খান বলেন, ‘কাশ্মীরের জনমিতি বদলে দেওয়ার ভারত সরকারের পরিকল্পনা চতুর্থ জেনেভা কনভেনশন অনুসারে এক ধরনের যুদ্ধাপরাধ। কাশ্মীরিদের প্রতি আমাদের বলিষ্ঠ বার্তা- আমাদের জাতি দৃঢ় সমর্থন তাদের সঙ্গে আছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি সকল পাকিস্তানিদের প্রতি আহ্বান করছি যে, আধা ঘণ্টার জন্য সবধরনের কাজ বন্ধ রেখে কাশ্মীরিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করতে রাস্তায় দাঁড়ান।’
গত ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন ও রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি সরকার। এর আগের দিন থেকে জম্মু-কাশ্মীরে কঠোর সামরিক নিরাপত্তা জারি করা হয়।
কারফিউ জারি করে ইন্টারনেট সংযোগ এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিয়ে অঞ্চলটির সঙ্গে পুরো বিশ্বের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
২৫ দিন পর শুধু জম্মুর আলাদা আলাদা পাঁচটি জেলায় মোবাইল নেটওয়ার্ক এবং মোবাইল ইন্টারনেট সার্ভিস খুলে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন দাবি করছে, অঞ্চলটিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে এবং কাশ্মীরে ১১১টি পুলিশ স্টেশনের ৮১টি দিনের বেলায় নিরাপত্তার কড়াকড়ি শিথিল করা হয়েছে।
এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি ভারতের এক শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, বিশেষ মর্যাদা বাতিলের প্রতিবাদে কাশ্মীরের মানুষ বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে। গত ২৫ দিনে অন্তত ৫০০ বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে।
এতে পুলিশ বাহিনীর ৩০০ এবং আধা সামরিক বাহিনীর ১০০ এর অধিক সদস্য আহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় ১০০ জনের মতো বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। পুলিশের প্রতি পাথর ছোড়ার অভিযোগে ১৩৫০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
৫ আগস্টের আগের দিন থেকে দুই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ এখন পর্যন্ত অন্তত ৪ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয় রাজ্যটিতে। কারাগারের স্থান সংকুলান না হওয়ায় বন্দিদের পাঠানো হচ্ছে অন্যান্য রাজ্যের কারাগারগুলোতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।