জুমবাংলা ডেস্ক : আজ ২৪ মে, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী। ১৮৯৯ সালের এই দিনে (১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৩০৬ বঙ্গাব্দ) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বাংলা সাহিত্যের অগ্নিকবি। বিদ্রোহ, প্রেম, মানবতা ও সাম্যের অনন্য কণ্ঠস্বর হয়ে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন বাঙালির মননে ও সাহিত্যের উচ্চতম আসনে।
‘বিদ্রোহী’ কবিতার মধ্য দিয়ে উপনিবেশবিরোধী সাহসিকতার প্রতীক হয়ে ওঠা নজরুল লিখেছেন—
“বল বীর, চির উন্নত মম শির!”
কবিতা, গান, প্রবন্ধ, উপন্যাস, নাটকসহ সাহিত্যের প্রায় সব শাখায় তার দখল ছিল অসাধারণ। বিশেষ করে নজরুল সংগীত বাঙালির জাতীয় সংগীতের ধারায় এনে দিয়েছে শক্তিশালী আবেগ ও সাংস্কৃতিক আত্মপরিচয়। ধর্মীয় সহনশীলতা, নারীর মুক্তি ও শ্রমজীবী মানুষের অধিকারের পক্ষে তার লেখা আজও সমান প্রাসঙ্গিক।
জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কবির স্মরণে আয়োজন করা হয়েছে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী। জাতীয় পর্যায়ের কর্মসূচির পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও পালিত হচ্ছে নজরুল জয়ন্তী।
বাংলা সাহিত্যে নজরুলের অবদান শুধু সাহসিকতার নয়, বরং দ্রোহ ও প্রেমের এক অসামান্য সংমিশ্রণ। ‘চল্ চল্ চল্’ গানটি বাংলাদেশের সামরিক সংগীত হিসেবে গৃহীত হওয়ায় রাষ্ট্রীয়ভাবেও তিনি পেয়েছেন চূড়ান্ত স্বীকৃতি।
আজকের দিনে নতুন প্রজন্মের জন্য নজরুলের চেতনাকে তুলে ধরা শুধু প্রাসঙ্গিক নয়, জরুরি। তার লেখনী এখনো আমাদের উদ্দীপ্ত করে— মানবতার জয়গানে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, সাম্যের সংগ্রামে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।