বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : Google – Facebook – Youtube সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কয়েকশ’ ক্যাশ সার্ভার বন্ধ হচ্ছে আজ শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর)। ইতোমধ্যেই প্রান্তিক গ্রাহকরা ইন্টারনেট ব্যবহারে পড়েছেন ভোগান্তিতে।
বিটিআরসি বলছে, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এখন থেকে নির্ধারিত অপারেটর ছাড়া আর কারও কাছে ক্যাশ সার্ভার থাকবে না। বন্ধের তালিকায় থাকা সার্ভারগুলো স্থানান্তরের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে ফেসবুক ও গুগলের অসহযোগিতায় তা কাজে লাগানো যায়নি বলে অভিযোগ ইন্টারনেট সেবাদাতাদের।
ক্যাশ সার্ভার মূলত Google – Facebook – Youtube এর প্রধান সার্ভারের সঙ্গে সংযুক্ত সহযোগী নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা। বাংলাদেশের কোনো গ্রাহক গুগল, ফেসবুক কিংবা ইউটিউবে তথ্য বা ভিডিও চাইলে প্রথমে প্রধান সার্ভার থেকে সরবরাহ করা হয়। গ্রাহক সংশ্লিষ্ট কনটেন্টটি একবার দেখার পর তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেশীয় ইন্টারনেট সেবাদাতাদের ক্যাশ সার্ভারে জমা হয়। এরপর একই কনটেন্ট অন্য গ্রাহক দেখতে চাইলে স্থানীয় ক্যাশ সার্ভার থেকে মুহূর্তেই সরবরাহ করা হয়।
তবে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ৩১ ডিসেম্বর অর্থাৎ শুক্রবারের মধ্যে আইআইজি, নিক্স, ন্যাশনওয়াইড আইএসপি এবং মোবাইল অপারেটর ছাড়া ছোট ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থাকা ক্যাশ সার্ভার অপসারণের নির্দেশ দেয় বিটিআরসি।
ইন্টারনেট সেবাদাতারা বলছে, বর্তমানে বাংলাদেশে Google – Facebook – Youtube এর মতো বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের ১৬০০ সার্ভার রয়েছে। তবে ফেসবুক গুগলের অসহযোগিতায় প্রান্তিক পর্যায়ে থাকা সাড়ে তিনশ’র মতো সার্ভার এখনো সরানো যায়নি।
আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, বিটিআরসি আমাদের এনওসি দিয়ে দিয়েছে কিন্তু গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব এবং স্থানীয়ভাবে যারা এখানে আছে তাদের আমরা কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না।
নতুন সিদ্ধান্তের কারণে শহরে খুব একটা ভোগান্তি না হলেও ইন্টারনেটের ধীরগতিতে ভোগান্তিতে পড়ছেন গ্রামাঞ্চলের গ্রাহকরা। সেবাখাতে বাড়বে বৈষম্যও। সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ের যারা ব্যবহারকারীরা আছেন তারা কাঙ্ক্ষিত ব্যান্ডউইথ পাবে না।
বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির বলেন, অবশ্যই একটা বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। যাদের ছোট আইএসপি তারা অসুবিধার মধ্যে পড়ছে। বিটিআরসি বলছে, অনুমোদন ছাড়া স্থাপন করা গুগল, ফেসবুকের ক্যাশ সার্ভারগুলো নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী মহীউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিভিন্ন ধরনের গুজব এসে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। যেটা আমাদের কোনো রেজুলেশন বা নিয়ন্ত্রণ থাকে না। সবকিছু সামনে নিয়ে আমরা ক্যাশ সার্ভারের মূলত রি-অ্যারেঞ্জ বলা যেতে পারে। এর আগে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ক্যাশ সার্ভার অপসারণের নিদের্শ দিলেও সেবাদাতাদের অনুরোধে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় বিটিআরসি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।