বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের দুবলারচরের আলোরকোলে আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) শুরু হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী তিন দিনব্যাপী রাসমেলা। আধ্যাত্মিক পরিবেশ, ধর্মীয় আচার ও প্রকৃতির সৌন্দর্যে মুখর হয়ে উঠেছে কিংবদন্তি এই দ্বীপ।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাদ্যযন্ত্র, পূজার সামগ্রী ও নৌযান নিয়ে ইতোমধ্যেই মেলার পথে যাত্রা শুরু করেছেন হাজারো ভক্ত তীর্থযাত্রী। শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী এই রাসমেলা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ তীর্থোৎসব।
তবে এবছর নিরাপত্তা ও পরিবেশ সংরক্ষণের স্বার্থে সাধারণ পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে বন বিভাগ। শুধুমাত্র নিবন্ধিত সনাতন ধর্মাবলম্বী তীর্থযাত্রীদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তীর্থযাত্রীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে বন বিভাগ মোট পাঁচটি নৌরুট নির্ধারণ করেছে—
১. মোংলা-হারবারিয়া
২. শ্যামনগর-কোবাদাক চ্যানেল
৩. বুড়িগোয়ালিনী-অভ্যন্তরীণ নদীপথ
৪. খুলনা-দাকোপ-বলেশ্বর
৫. পাথরঘাটা-শরণখোলা
প্রতিটি রুটে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে, এবং নিবন্ধনবিহীন নৌযান প্রবেশে কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে প্রতিটি নৌযানে লাইফজ্যাকেট, সেফটি সিগন্যাল ও যাত্রী তালিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
মেলাকে ঘিরে বন বিভাগ, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে বহুস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়। জল ও স্থল উভয়পথেই টহলদল মোতায়েন রয়েছে এবং কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে।
সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) এ জেড এম হাসানুর রহমান জানান, “সোমবার সকাল ৮টা থেকে নৌযানগুলো যাত্রা শুরু করবে। নির্ধারিত রুটে লাল পতাকা বসানো হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা ও বনের সুরক্ষা নিশ্চিতে কঠোর নজরদারি থাকবে।”
পূর্ণিমার রাতে সমুদ্রস্নান, প্রদীপ প্রজ্বালন, আরতি, কীর্তন ও প্রসাদ বিতরণ এই মেলার প্রধান আকর্ষণ। প্রায় এক শতাব্দী আগে সাধু হরিভজনের আধ্যাত্মিক তপস্যা থেকে দুবলারচরে এই রাসমেলা শুরু হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



