দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ভবিষ্যৎ সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য ১৯৪৫ সালে অনেক আশা নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রাথমিকভাবে সনদে স্বাক্ষর করেছিল ৫১টি রাষ্ট্র। জাতিসংঘের বর্তমান সদস্য রাষ্ট্র হচ্ছে ১৯৩। প্রতি বছর সাধারন পরিষদের অধিবেশনে সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিগণ অংশ নেন ও ভাষণ দিয়ে থাকেন। জাতিসংঘে আজ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর ঘটনা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে সবার আগে ব্রাজিলের রাষ্ট্রপ্রধান ভাষণ দিয়ে থাকেন। এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান স্টেজে আসেন। প্রত্যেক বছর একই নিয়ম মেনে চলা হয়। নিয়ম অনুযায়ী ১৫ মিনিটের মধ্যে বক্তব্য শেষ করার কথা।
কিন্তু ফিদেল কাস্ত্রো কিউবার ক্ষমতায় থাকার সময়ে সবথেকে লম্বা সময় ধরে ভাষণ দিয়েছিলেন। ১৯৬০ সালে এক টানা সাড়ে চার ঘন্টা বক্তব্য রেখেছিলেন। তার ওই রেকর্ড আজ পর্যন্ত কেউ ভাঙতে পারেনি। সাধারণত শান্তি স্থাপনের লক্ষ্য নিয়ে অধিবেশন শুরু হলেও সেখানে বিবাদের অদ্ভুত ঘটনাও ঘটে।
১৯৬০ সালে সোভিয়েত নেতা নিজের জুতা খুলে টেবিলে আঘাত করতে থাকেন। এভাবে তিনি নিজের রাগ এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপর থেকে বিশ্বব্যাপী ক্ষোভ প্রকাশের প্রতীক রূপে এ ধরনের ভঙ্গি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ফিলিস্তিন নেতা ইয়াসিন আরাফাত বন্দুক নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের স্টেজে উপস্থিত হয়েছিলেন। যদিও এ ঘটনার জন্য তিনি যথেষ্ট সমালোচিত হয়েছেন। ২০০৬ সালে ভেনেজুয়েল এর নেতা হুগো সাভেজ অন্য এক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে বাজে ভাষায় মন্তব্য করেন এবং তাকে ইঙ্গিত করে অপমানজনক ভঙ্গি পরিবেশন করেন।
তার ওই ভঙ্গি দেখে সাধারণ পরিষদে এক হাস্যরসাত্নক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল। ১৯৯০ সালে লিবিয়ার নেতা গাদ্দাফি প্রথমবার বক্তৃতা দিতে এসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদকে জঙ্গি পরিষদ হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং জাতিসংঘের সনদ ছুড়ে ফেলে দেন। কাজেই ইতিহাস বলে যে, সাধারণ পরিষদে সবসময় স্বাভাবিক ঘটনা ঘটে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।