জুমবাংলা ডেস্ক : করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চলমান কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে আজ বিভাগীয় কমিশনার ও ৬৪ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নভেল করোনাভাইরাসের মহামারী সামলাতে মাঠ প্রশাসন কীভাবে কাজ করছে তা জানার পাশাপাশি তাদের দিক-নির্দেশনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল ১০টায় গণভবন থেকে এই ভিডিও কনফারেন্স হওয়ার কথা রয়েছে।
গণভবন সূত্রে জানা গেছে, বিভাগীয় কমিশনারদের ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত করা হবে। বিভাগীয় কমিশনাররা তাদের আওতাধীন জেলার ডিসিদের যুক্ত রাখবেন। প্রধানমন্ত্রী যখন যে ডিসির সঙ্গে কথা বলতে চাইবেন তখন সেই ডিসিকে যুক্ত করা হবে। এভাবে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব ইমরুল কায়েস গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতার সরাসরি সম্প্রচার করবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ডিসিরা কীভাবে কাজ করছেন সে বিষয়ে জানবেন প্রধানমন্ত্রী।
এ ছাড়া এই সময় তাদের কীভাবে কাজ করতে হবে এবং অসহায়দের কাছে কীভাবে খাবার পৌঁছে দিতে হবে সে বিষয়েও প্রধানমন্ত্রী দিকনির্দেশনা দেবেন। একই সঙ্গে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সম্পৃক্ত বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-সচিবদেরও ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত রাখা হতে পারে। সেখানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ছাড়াও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা ওই ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত থাকতে পারেন। দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। সেই সঙ্গে সড়ক, নৌ, আকাশ পথে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রেখে সবাইকে বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে।
কর্মহীনদের তালিকা করে ত্রাণ বিতরণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসের কারণে শহর ও গ্রামে খাদ্য সমস্যায় থাকা কর্মহীনদের তালিকা তৈরি করে তাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। রবিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল স্বাক্ষরিত এই নির্দেশনা সংক্রান্ত চিঠি সব জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, সারা দেশে করোনাভাইরাসের কারণে শহর ও গ্রামে কর্মজীবী মানুষ কর্মহীন অবস্থায় আছে। যেসব কর্মজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে খাদ্য সমস্যায় আছে প্রধানমন্ত্রী সেসব কর্মহীন লোক (যেমন- ভিক্ষুক, ভবঘুরে, দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, পরিবহন শ্রমিক, রেস্টুরেন্ট শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, চায়ের দোকানদার) যারা দৈনিক আয়ের ভিত্তিতে সংসার চালায় তাদের তালিকা প্রস্তুত করে খাদ্য সহায়তা প্রদানের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পর্যায়ে ওয়ার্ডভিত্তিক, কৃষি শ্রমিকসহ উপকারভোগীদের তালিকা প্রস্তুত করে খাদ্য সহায়তা দিতে হবে।
এছাড়াও স্থানীয় পর্যায়ে বিত্তশালী ব্যক্তি, সংগঠন, এনজিও কোনো খাদ্য সহায়তা দিলে জেলা প্রশাসকরা প্রস্তুতকৃত তালিকার সঙ্গে সমন্বয় করবেন, যাতে দ্বৈধতা পরিহার করা যায় এবং কোনো কর্মহীন মানুষ যেন বাদ না পড়ে। সামগ্রিকভাবে সমন্বিত কার্যক্রম এ মুহূর্তে অত্যন্ত জরুরি বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।