জুমবাংলা ডেস্ক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ৩টার দিকে তাদের নিজ নিজ বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তাদের দুজনকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শায়রুল কবির জানান, রাত সোয়া ৩টার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তার উত্তরার বাসা থেকে ও একই সময়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে তার শাহজাহানপুরের বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
এদিকে মির্জা ফখরুলকে ডিবি পুলিশের তুলে নেওয়ার খবর পেয়ে সাংবাদিকরা তার উত্তরার বাসায় যান। সেখানে শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে কথা হয় বিএনপি মহাসচিবের স্ত্রী রাহাত আরা বেগমের সঙ্গে।
মির্জা ফখরুলকে কখন তুলে নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে রাহাত আরা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, চারজন উপরে আসছিলেন। তাদের বসানো হয়েছিল। তারা বলেছেন, তাকে নিয়ে (মির্জা ফখরুল) যাবেন। পরে শুনেছি নিচে দরজা না খোলায় সিকিউরিটি গার্ডকে চড় থাপ্পড় মারা হয়েছে।
তিনি বলে, এটা নিয়ে এর আগেও আমাদের অনেক অভিজ্ঞতা আছে। এর আগে তারা এসেছেন। স্যার (মির্জা ফখরুল) হয় তো বাসায় ছিলেন না। তখন তারা এসে ভেতরে ঢুকেছেন।
‘তবে তারা (আজ রাতে) বাসায় এসে আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে নাই। তবে নিচে যখন দাঁড়িয়েছিলেন তখন তারা তাদের (সিকিউরিটি গার্ড) সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন।’
কেন তাকে নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে তারা কিছু বলেছেন কি-না- জানতে চাইলে ফখরুল পত্নী বলেন, কাল পরশুর মধ্যে তার (মির্জা ফখরুল) বিরুদ্ধে নাকি দুই তিনটা মামলা হয়েছে। আপনারা কেন এসেছেন- জানতে চাইলে তারা স্যারকে (মির্জা ফখরুল) বলেন, তারা উপরের নির্দেশে তাকে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে কার নির্দেশে নিয়ে যাচ্ছেন সেটা তারা বলেন নাই।
রাহাত আরা বেগম আরও বলেন, তার শরীরের অবস্থা তেমন ভালো না। গতকাল (বৃহস্পতিবার) তার মিটিং ছিল। রাতে বাসায় এসে ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে যান। যে কাপড় পরে ছিলেন সেভাবে গেছেন। যাওয়ার সময় টুকটাক ওষুধ নিয়ে চলে গেছেন। তারা আসছেন তিনটার মধ্যে, সাড়ে ৩টার মধ্যে বের হয়ে গেছেন।
তুলে নিয়ে যাওয়ার আগের ঘটনা বর্ণনা করে তিনি বলেন, ওরা নাকি চার পাঁচটা গাড়ি নিয়ে রাত ১০টা থেকে টহল দিচ্ছিল। শুনেছি, আগে থেকেই হয় তো তাদের অ্যারেস্ট করার পরিকল্পনা মাথায় ছিল। এরপর তিনটার দিকে তারা নিচে দরজা খুলতে বলেন। ওরা (সিকিউরিটি গার্ড) দরজা খুলতে চাচ্ছিল না। তাদেরকে চড় থাপ্পড় দেওয়া হয়েছে। ওই সময় রাস্তার লাইট বন্ধ করা ছিল। আপনারা (সাংবাদিক) আসার সময় দেখেছেন। রাস্তায় একটা বড় লাইট জ্বলে, সেটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তবে চলে যাওয়ার পর স্বামীর সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি বলে জানান রাহাত আরা বেগম। সূত্র : যুগান্তর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।