আটকে গেছে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে সরানোর প্রকল্প। ধারণক্ষমতা এক লাখ হলেও গত চার বছরে কক্সবাজার থেকে সরানো হয়েছে মাত্র ৩৭ হাজার রোহিঙ্গা। এদের মধ্যে প্রায় ৭ হাজার আবার পালিয়ে ফিরে এসেছে কক্সবাজারে। বর্তমানে প্রকল্পটি কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, সরকারের পক্ষ থেকে আর কোনো নতুন সম্মতি নেই। ফলে ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। তার ভাষায়, “সরকার মনে করছে, ভাসানচর প্রকল্প একটি ব্যর্থ প্রকল্প। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সাহায্যকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও আর আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তাছাড়া ব্যয়ও অনেক বেশি। কক্সবাজারে একজনের পেছনে যেখানে ১০০ টাকা খরচ হয়, ভাসানচরে সেখানে খরচ দাঁড়ায় ১৩০ টাকার বেশি।”
২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠানো হয়। সর্বশেষ স্থানান্তর হয় ২০২৪ সালের অক্টোবরে। এরপর থেকে কোনো নতুন দফা হয়নি।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, শুরু থেকেই প্রকল্পটির বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন বলেন, “এই প্রজেক্ট যে ব্যর্থ হয়েছে তার বড় প্রমাণ হলো মানুষ সেখানে থাকতে চাইছে না। তারা চুরি করে হলেও ফিরে আসছে। রিলোকেশন থেকে বের হয়ে আমাদের এখন মূল ফোকাস দিতে হবে রোহিঙ্গাদের কীভাবে তাদের নিজ দেশে সম্মানের সঙ্গে পাঠানো যায়।”
তাদের মতে, ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তর কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। সংকট সমাধানে সরকারের উচিত আন্তর্জাতিক মহলের ওপর চাপ সৃষ্টি করে দ্রুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।