হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক হারুন ইজাহারকে আটক করেছে র্যাব। বুধবার (২৮ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানার লালখানবাজারে জামেয়াতুল উলুম আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে নগরীর পতেঙ্গায় র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘হারুন ইজাহারকে আমরা আটক করেছি। আপাতত আমরা তাকে আমাদের কার্যালয়ে রেখে গত ২৬ মার্চ থেকে পরবর্তী তিন দিন ধরে হাটহাজারীতে যে তাণ্ডব ও সহিংসতা হয়েছে; সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এরপর তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হারুন ইজাহারের বাবা ইজাহারুল ইসলাম লালখান বাজার মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা। জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে বরাবর আলোচিত বাবা-ছেলে উভয়ই হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে সম্পৃক্ত। নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ প্রতিষ্ঠার পর লালখান বাজার মাদ্রাসায় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ আছে। ইজাহারুল ইসলাম সংগঠনটির অন্যতম পৃষ্ঠপোষক হিসেবে অভিযুক্ত।
হারুন ইজাহারের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থ সংগ্রহ এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ আছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা। ২০১০ সালে ইজাহারুল ইসলাম ও হারুন ইজাহারকে ডিএমপির ডিবি শাখা গ্রেফতার করেছিল।
২০১৩ সালে লালখান বাজার মাদ্রাসায় গ্রেনেড বানানোর সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু গ্রেনেড ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে। এরপর হারুন ইজাহারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অবশ্য তার বাবা পালিয়ে গ্রেফতার এড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন।
গত রোববার (২৫ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে আকস্মিকভাবে জুনায়েদ বাবুনগরী ফেসবুকে ভিডিওবার্তার মাধ্যমে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণা দেন। আবার এ ঘোষণার রেশ না কাটতেই রাত সাড়ে ৩টার দিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ফেসবুক পেজ থেকে তিন সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের কথাও প্রচার করা হয়। পরে আরও দুজনকে সদস্য হিসেবে সংযুক্ত করার কথাও জানানো হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।