আটলান্টিকের নিচে টানেল: ইলন মাস্কের নতুন বিপ্লবী পরিকল্পনা

ইলন মাস্ক

টেসলা, স্পেসএক্স, নিউরালিংকসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক নানা ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য বছরজুড়েই আলোচনায় থাকেন। এবার আটলান্টিক মহাসাগরের নিচে টানেল তৈরির পরিকল্পনা প্রকাশ করে আবারও আলোচনায় এসেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনকে সংযুক্ত করতে তৈরি টানেলটি তৈরি করবে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন ‘দ্য বোরিং কোম্পানি’। টানেলটি চালু হলে আটলান্টিক মহাসাগরের নিচ দিয়ে মাত্র এক ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউরোপে যাওয়া যাবে। টানেলটি তৈরি করতে খরচ হবে প্রায় দুই হাজার কোটি মার্কিন ডলার।

ইলন মাস্ক

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউরোপের মধ্যে এ ধরনের সংযোগ টানেল তৈরির জন্য গত কয়েক দশক ধরেই আলোচনা হচ্ছে। বর্তমানে বিমানে চড়ে লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক যেতে প্রায় আট ঘণ্টা সময় প্রয়োজন হয়। আটলান্টিকের নিচে টানেল হলে তা এক ঘণ্টায় আনা সম্ভব বলে মনে করেন ইলন মাস্ক।

এর আগে ইউরোপে ইংলিশ চ্যানেলে টানেল তৈরির মাধ্যমে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে সংযুক্ত করা হয়েছে। ইংলিশ চ্যানেলের নিচে একটি ৩৮ কিলোমিটার আন্ডারওয়াটার টানেল নির্মাণ করতে ছয় বছর লেগেছিল তখন। আর মোট খরচ হয়েছিল ১ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার। ইলন মাস্ক ইংলিশ টানেলের চেয়েও বড় প্রকল্পে আগ্রহী।

ইলন মাস্ক হাইপারলুপ প্রযুক্তির মাধ্যমে এই টানেল তৈরি করতে চান। হাইপারলুপ প্রযুক্তিতে বিভিন্ন যানবাহন ভ্যাকুয়াম-সিল করা টানেলের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করবে। সাধারণ যানবাহন রাস্তায় চলার সময় বায়ুর প্রতিরোধের মুখে পড়ে। ইলন মাস্কের টানেলে এই প্রতিরোধের মুখে পড়ে না যানবাহন।

তাত্ত্বিকভাবে হাইপারলুপ ট্রেন ঘণ্টায় ৩ হাজার মাইলের বেশি গতিতে ছুটতে পারে। এই হিসেবে লন্ডন ও নিউইয়র্কের মধ্যে ভ্রমণের সময় লাগবে মাত্র এক ঘণ্টা। হাইপারলুপ পড বা যানবাহন ম্যাগনেটিক লেভিটেশন বা ম্যাগলেভ প্রযুক্তি ব্যবহার করে চালানো হবে। এই প্রযুক্তি ইতিমধ্যে জাপান ও চীনে উচ্চগতির ট্রেনে ব্যবহার করা হচ্ছে।