জুমবাংলা ডেস্ক : সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (বরখাস্ত) আবদুল্লাহিল আমান আযমী বলেছেন, আট বছরের বন্দিজীবনে আমি কখনও প্রধানমন্ত্রীর নিকট কোন আবেদন করিনি।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া তার এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।
পোস্টে তিনি বলেন, প্রাক্তন (বর্তমানে পলাতক) প্রধানমন্ত্রী ‘আমাকে হত্যা করার নির্দেশ/ অনুমোদন দিয়েছিলেন বলে যে রিপোর্টটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে যে, “আমি মুক্তি চেয়ে বারবার আবেদন করেছিলাম’। বক্তব্যটি সর্বৈব মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
আট বছরের বন্দীজীবনে আমি কখনো প্রধানমন্ত্রীর নিকট কোনো ধরণের কোনো আবেদন করিনি। বরং, ২৩শে মে ২০২১ তারিখে সেখানকার এক কর্মকর্তা আমাকে বলেছিলেন যে , আমি দেশে থাকবোনা, রাজনীতি করবোনা, নিজের পরিবার নিয়ে বিদেশ চলে যাবো’ এই মর্মে একটি মুচলেকা দিতে। আমি সাথে সাথে তা প্রত্যাখ্যান করেছি এবং বলেছি যে, “আমি স্বাধীন দেশের নাগরিক। আমি রাজনীতি করবো কি করবোনা, দেশে থাকবো কি থাকবোনা সেটা আমার সিদ্ধান্ত। আমি মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পেতে চাই না”।
সেই কর্মকর্তা কয়েকবার বললেও আমি আমার বক্তব্যে অটল থাকি। আমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার এ ধরণের নির্লজ্জ মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা জানাই।
ভবিষ্যতে এ ধরণের মিথ্যাচার না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানান আযমী ।
আবদুল্লাহিল আমান আযমী জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির প্রয়াত গোলাম আযমের ছেলে। ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট রাতে আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে গুম করা হয় বলে পরিবার জানায়।
গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর রাতে সেনাবাহিনীর সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন সময়ে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনেরা ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার কচুক্ষেতে সমবেত হয়ে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) ‘আয়নাঘরের বন্দীদের’ মুক্তির দাবি জানান। এরপরই তাঁরা মুক্ত হয়ে ফিরে আসেন।
এ সময় আবদুল্লাহিল আমান আযমীও মুক্ত হয়ে ফিরে আসেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।