আতা স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু একটি ফল। এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর, প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি এবং অনেক ধরনের খাবারে ব্যবহার করার জন্য উপযোগী। এটি ভেঙে সরাসরি খাওয়া বা স্মুদিতে মিশিয়ে যেভাবেই খান না কেন, আপনি শরীরের জন্য বিশেষ উপকার পাবেনন। দেশীয় এই ফলের উপকারিতার কথা অনেকেরই অজানা। আপনিও কি তাদের মধ্যে একজন? চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক, আতা ফল খাওয়া কেন জরুরি-
১. প্রাকৃতিক ডেজার্ট
মিষ্টি খাবার কিংবা ডেজার্ট কে পছন্দ করে না? আপনি যদি চিনি এড়াতে চেষ্টা করেন, তবে আতা ফল হতে পারে সেরা পছন্দ। এর প্রাকৃতিক মিষ্টি এবং ক্রিমি টেক্সচার প্রকৃতির আইসক্রিমের মতো! এটি একটি চামচ দিয়ে বের করে নিন এবং উপভোগ করুন। এটি সেই সময়ের জন্য উপযুক্ত যখন আপনি মিষ্টি কিছু খেতে চান কিন্তু ক্যালোরি বা কৃত্রিম চিনি এড়িয়ে যেতে চান। এছাড়াও এটি ডায়েটারি ফাইবার সমৃদ্ধ, তাই এই ফল আপনার পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
২. পুষ্টিতে ভরপুর
আতা ফল প্রয়োজনীয় পুষ্টির একটি পাওয়ার হাউস। এই ফলে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে উচ্চ মাত্রায়। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, হৃদরোগের উন্নতি করতে এবং স্বাস্থ্যকর ত্বক বজায় রাখতে কাজ করে। এই ফলে ভিটামিন বি-৬ রয়েছে, যা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বজায় রাখে।
৩. অন্ত্রের জন্য উপকারী
আতা ফল ফাইবার দিয়ে ভরা, যার মানে এটি হজম স্বাস্থ্যের জন্য দুর্দান্ত। সুস্থ অন্ত্র হলো শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেম, পুষ্টির ভাল শোষণ এবং সামগ্রিক সুস্থতার ভিত্তি। এছাড়াও, ফাইবার আপনাকে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখার অনুভূতি দেয়, যা বারবার খাওয়া থেকে বিরত রাখে।
‘আগেই ভালো ছিল’ বলার সুযোগ দিচ্ছি, এটা আমাদের ব্যর্থতা : হাসনাত
৪. সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে লড়াই করে
আবহাওয়া শীতল হতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সবাই সুস্থ থাকার উপায় খুঁজছি। আতা ফলের সমৃদ্ধ ভিটামিন সি সামগ্রী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দুর্দান্ত কাজ করে। এটি নিয়মিত খেলে তা সর্দি এবং ফ্লু থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। তাই এসময় সুস্থ থাকতে আতা ফল খান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।