সিলেটে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামি ছাত্রলীগ নেতা রাজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সোমবার ভোরে তাকে ফেঞ্চুগঞ্জ গ্রেপ্তার করা হয়
এ সময় রাজনকে সহযোগিতায় করায় আইনুল নামের আরেক যুবককেও গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব ও ডিবি সূত্র জানায়, ছাত্রলীগ নেতা রাজন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কচুয়া নয়াটিলা এলাকা তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে রয়েছেন, এমন খবরে অভিযান চালায় তারা। অভিযানে রাজন ও তার সহযোগী আইনুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে সিলেট নিয়ে আসা হয়েছে।
এর আগে রোববার রাতে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে শাহ্ মাহবুবুর রহমান রনিকে গ্রেপ্তার করে র্যাবের একটি বিশেষ অভিযানিক দল। অন্যদিকে জেলার নবীগঞ্জ উপজেলা থেকে রবিউলকে গ্রেপ্তার করে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ। এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার মোট ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হল।
এছাড়া রোববার সকালে সুনামগঞ্জ থেকে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে আটক করে পুলিশ। এছাড়া একই সময় হবিগঞ্জের মাধবপুর সীমান্ত থেকে অর্জুন লস্করকে আটক করে সিলেট গোয়েন্দা পুলিশ।
উল্লেখ্য, প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকেলে ২০ বছরের এক তরুণী তার স্বামীকে নিয়ে সিলেটের এমসি কলেজের ক্যাম্পাসে ঘুরতে যান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে কয়েকজন বখাটে তরুণী ও তার স্বামীকে জোরপূর্বক কলেজ ছাত্রাবাসে তোলে নিয়ে যায়। পরে স্বামীকে গাড়িতে আটকে রেখে ৫/৬ জন মিলে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। রাত ১০টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদেরকে উদ্ধার করে। পরে গুরুত্বর আহত অবস্থায় ওই তরুণীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করেন।
সিলেটের এমসি কলেজে যা ঘটেছে
এ ঘটনায় শনিবার সকালে শাহ পরান থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া বিষয়টি তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৭ কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে ছাত্রাবাসের দুই নিরাপত্তাকর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।