জুমবাংলা ডেস্ক: সহিংসতা মামলায় গ্রেপ্তার হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে আদালতে নেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে ডিবি কার্যালয় থেকে তাঁকে আদালতের নেওয়া হয়।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ জানান, মামুনুল হককে আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।
গতকাল রবিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও যুব মজলিসের সভাপতি।
পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, ২০২০ সালে মোহাম্মদপুর থানায় একটি হামলা-ভাঙচুরের মামলায় মামুনুলকে প্রথম গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরের নাশকতার ঘটনায় ঢাকায় সাতটিসহ ৩৩টি মামলার আসামি তিনি। আগেও দুবার গ্রেপ্তার হয়েছেন মামুনুল। সম্প্রতি পল্টন, মতিঝিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সোনারগাঁসহ কয়েকটি থানার মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তিনি। ২০১৩ সালের একটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রও দেওয়া হয়েছে। এসব মামলায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাঁকে গ্রেপ্তার দেখাবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মুহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৩ সালের মামলার তদন্তে মামুনুলের নামও উঠে এসেছে। কয়েকটি মামলায় তিনি চার্জশিটভুক্ত আসামি। ওই সব মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে’।
গত এক সপ্তাহে কওমি মাদরাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় ও মহানগর পর্যায়ের আটজন নেতাকে গ্রেপ্তারের পর তাঁরা এখন পুলিশের রিমান্ডে আছেন। গতকাল তিনজনের সাত দিন করে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত।
গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে আটক করে মামুনুলকে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে আনা হয়। সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিসি হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আমাদের মোহাম্মদপুর থানায় ২০২০ সালের ভাঙচুরের একটি মামলা ছিল। আমরা তদন্ত করছিলাম। তদন্তের ভিত্তিতে নিশ্চিত হয়েছি, ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত। এ মামলায় আমরা তাঁকে জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছি’।
ডিসি হারুন বলেন, ‘সাম্প্রতিক ঘটনায় মামুনুল আমাদের নজরদারিতে ছিলেন। মাদরাসায় অবস্থান করছিলেন। আমরা কৌশলে তাঁকে নিয়ে আসি। এতে তেমন বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি’। তিনি বলেন, ‘মোহাম্মদপুর থানার মামলায় আজ মামুনুলকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ’।
এরপর দুপুরেই মামনুলকে তেজগাঁও থানা কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ, মামলার ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও মিন্টো রোডের পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। তেজগাঁও থানায় জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল তিন বিয়ের কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেছেন, যে দুই নারীর কথা আলোচনায় এসেছে তাঁরা দুজনই তাঁর স্ত্রী। এসব বিয়ে তিনি সামাজিকভাবে গোপন রেখেছেন।
ঢাকা মহানগর ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম গতকাল রবিবার বলেন, ‘মামুনুল হক ২০১৩ সালের সহিংসতা এবং সাম্প্রতিক সহিংসতায়ও নিজে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং উসকানি দিয়েছেন। তাঁকে প্রথমে পুরনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আগামীকাল (সোমবার) আদালতে পাঠানো হবে’।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।