স্পোর্টস ডেস্ক : কথা ছিল, বিপিএলের পরেই নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তামিম ইকবাল। জাতীয় দল থেকে একবার অবসরের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এরপর সেই সিদ্ধান্ত বদল করে ফিরে এলেও বিশ্বকাপের বিমান ধরা হয়নি তার। সেই তামিমই কিনা হলেন এবারের বিপিএল টুর্নামেন্টের সেরা তারকা। এদিন তামিম এক ঢিলে তিনটি পাখি শিকার করেছেন! চ্যাম্পিয়ন ট্রফির পাশাপাশি হয়েছেন সেরা রানসংগ্রাহক ও টুর্নামেন্টসেরা।
ফাইনালের আগে তামিম ছিলেন দারুণ ছন্দে। ফরচুন বরিশালের হয়ে ১৪ ম্যাচ খেলে করেছিলেন ৪৫৩ রান। সেরা ব্যাটারের দৌড়ে তামিমের প্রতিপক্ষ ছিলেন কুমিল্লারই তাওহীদ হৃদয়। দুজনের মধ্যে রানের ব্যবধান ছিল মোটে ৬। সেখান থেকে হৃদয় আজ ছিলেন নিষ্প্রভ। তামিম নিজেও খুব বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তবে ফাইনালের মঞ্চে এই রানই হয়ে ওঠে কার্যকর।
তাওহীদ হৃদয়কে টপকে বিপিএলের সিরিজসেরা হলেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। ৪৯২ রান করে সিরিজের সেরা ব্যাটার হয়েছেন তামিম। সেইসঙ্গে পুরো বিপিএলের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও নিজের করে নিয়েছেন তিনি।
তামিম যে ফুরিয়ে যাননি সেটা প্রমাণ করেছেন এবারের বিপিএলে। বড় ইনিংস নিয়মিত না এলেও দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে খেলেছেন ৭১ রানের চমৎকার এক ইনিংস। টুর্নামেন্টে এরপর আরও দুটি ফিফটি পেয়েছেন। এলিমিনেটরে চট্টগ্রামের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৪৩ বলে ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস।
বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান, বিপিএলে সর্বোচ্চ রানসহ প্রায় অনেক রেকর্ডই নিজের করে রেখেছেন চট্টগ্রামের এই ওপেনার। আজ বিপিএলের ফাইনালেও তামিমের সামনে হাতছানি দিচ্ছিল দুই রেকর্ড। তার মধ্যে অন্তত একটি রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন তিনি।
২০১২ সালে শুরু হওয়া বিপিএলের প্রথম আসর থেকেই নিয়মিত খেলেছেন তামিম। ১০ আসরে আটটি ভিন্ন ভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা তার হয়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে বিপিএলে দুই সেঞ্চুরির কীর্তি তিনি গড়ে ফেলেছেন। আজ গড়েছেন এক মৌসুমে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
২০১৬ সালে চট্টগ্রাম ভাইকিংসের হয়ে তিনি করেছিলেন ৪৭৬ রান। এরপর ২০১৯ বিপিএলে কুমিল্লার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার টুর্নামেন্টে করেছিলেন ৪৬৭ রান। এক মৌসুমে বিপিএলে দেশীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ রানে তামিমের এ দুই স্কোর রয়েছে ৩ ও ৪ নম্বরে। এবারের বিপিএলে সেটাকেই টপকে গেলেন তিনি।
অধিনায়ক হিসেবে প্রথম বিপিএল শিরোপা নিশ্চিতের দিনে সিরিজ সেরার পুরস্কারটাও পেলেন তামিম। বয়স বাড়লেও তামিম যে ফুরিয়ে যাননি তাই যেন প্রমাণ করলেন শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।