২০০৮ সালের কথা। চীনের বেইজিং এ অলিম্পিক গেমস চলছে। আর্জেন্টিনা খুব করে চাইছে ফুটবলে সোনা জেতার জন্য। কিন্তু সোনা জিততে হলে ফাইনালে উঠতে হবে এবং অবশ্যই প্রতিপক্ষকে হারিয়ে চ্যম্পিয়ন হতে হবে। ওই ফাইনাল ম্যাচে ম্যাজিক দেখালেন ডি মারিয়া।
তার আগে সেমিফাইনাল ম্যাচে আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হয়েছিল শক্তিশালী ব্রাজিলের। লিওনেল মেসি এবং ডি মারিয়ার মত খেলোয়াড়দের অসাধারণ নৈপুণ্যে ব্রাজিলকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনা।
ফাইনাল ম্যাচে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ছিল নাইজেরিয়া। লম্বা সময় পর্যন্ত ম্যাচটি গোলশূন্য অবস্থায় ছিল। শেষ সময়ে লিওনেল মেসির চমৎকার একটি পাস থেকে চিপ শট করে বল জালে পাঠান আনহেল ডি মারিয়া।
ডি মারিয়ার ঐ গোল এখনো সমর্থকদের চোখে লেগে আছে। সাথে সাথে পুরো বিশ্ব জুড়ে অনেক আর্জেন্টিনার সমর্থকদের ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। এভাবে অলিম্পিক গেমসের ফুটবলে সোনা জিতে আর্জেন্টিনা।
২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা হয়নি ডি মারিয়ার। ফাইনাল হারার পর ডি মারিয়া অঝরে কেঁদেছিলেন। ইনজুরি থাকা সত্ত্বেও তিনি খুব করে চেয়েছিলেন ফাইনাল খেলে আর্জেন্টিনার জন্য অবদান রাখতে।
২০২১ কোপা আমেরিকার ফাইনালে ডি মারিয়ার গোলে আর্জেন্টিনা ব্রাজিলকে হারিয়ে চ্যম্পিয়ন হয়। ডি পলের বাড়ানো চমৎকার একটি পাস থেকে চিপ শটের মাধ্যমে ডি মারিয়া বল জালে পাঠান। ডি মারিয়ার ওই গোল গ্যালারিতে বসে যারা দেখেছেন তারা কখনো ভুলতে পারবেন না।
এরপর লন্ডনে অনুষ্ঠিত ফিনালিসিমা ম্যাচে ইতালিকে ৩-০ করলে হারিয়ে চ্যম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। ওই ম্যাচ লাওতারো মার্তিনেজের বানানো পাস থেকে ডি মারিয়ার চিপ শট এখনো সমর্থকরা ভুলতে পারেনি। ডি মারিয়াকে নিয়ে সে তুলনায় আলোচনা কম হয়। অথচ তার অবদান অনেক।
তিনটি চিপ শট। তিনটি গোল। আর্জেন্টিনার তিনটি ফাইনাল জয়। ফাইনাল মানেই আনহেল ডি মারিয়ার ম্যাজিক এবং আর্জেন্টিনার বিজয়। তাই সমর্থকরা খুব করে চাইছেন আনহেল ডি মারিয়া কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলুক এবং দলের জয়ে অবদান রাখুক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।