জুমবাংলা ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বিকালে শেরপুর শহরের খড়মপুর এলাকায় পিকআপ চাপায় ঘটনাস্থলেই দুই আন্দোলনকারী মারা যান। আন্দোলন দমনে ওই গাড়িতে একজন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছিলেন বলে জানা গেছে। অনেক গুলো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গাড়িটির চালককে খুঁজছিল পুলিশ।
অবশেষে আলোচিত সেই গাড়ির চালক হারুণ অর রশীদকে গতকাল সোমবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হারুণের বাড়ি ময়মনসিংহে। হারুণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক অফিসের চালক। হারুণ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যাসহ চার মামলায় অভিযুক্ত। এই চার মামলায় মোট ২৭ দিন রিমান্ড চেয়ে আজ তাকে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। আদালত রিমান্ডের শুনানির তারিখ রেখে হারুণকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
জানা গেছে, ম্যাজিস্ট্রেটকে বহনকারী সাদা রঙের ওই পিকআপ গাড়ির চাপায় শেরপুর শহরের খরড়মপুর মহল্লার নতুন আইডিয়াল স্কুলে সামনে মাহবুব আলম ও সৌরভ নামে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। কিন্তু ওই গাড়িতে কে কে ছিলেন, কার নির্দেশে গাড়িটি মিছিলের ওপর তুলে দেওয়া হলো ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের এখনও জট খোলেনি। হারুণ অন্য জেলার সরকারি ড্রাইভার, তিনি শেরপুরের জেলা প্রশাসনের সরকারি গাড়ি কেন চালাচ্ছিলেন। এসব প্রশ্নের কোন জবাব মেলেনি। শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা মোরশেদ জিতু বলেছেন, আন্দোলনে ওই হত্যা দুটির বিষয়ে আমরা এখনও অন্ধকারে আছি। প্রকৃত অভিযুক্তরা এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় শেরপুর সদর থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। মামলায় সাবেক আওয়ামী লীগের তিন এমপি আতিউর রহমান আতিক, ছানোয়ার হোসেন ছানু, এডিএম শহিদুল ইসলাম ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির রুমানসহ অন্তত দেড় শতাধিক জনের নামে হত্যা মামলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।