জুমবাংলা ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী ফিরোজ কবির স্বাধীন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে মারা যান।
তার আগে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) স্বাধীনকে রাজধানীর বেসরকারি স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে প্রায় ২২ ঘণ্টার চিকিৎসা শেষে মারা যান তিনি।
পরে স্কয়ার হাসপাতালের পক্ষ থেকে রোগীর কাছে এক লাখ ৮৬ হাজার টাকা বিল দাবি করা হয়। এ বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড় উঠে। এরই মধ্যে সোমবার (২৯ জুলাই) এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠায় স্কয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একজন রোগী হাসপাতালে ভর্তির প্রথম দিনেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা ও ব্যবস্থাগুলো নেওয়া হয়ে থাকে। ফিরোজের ক্ষেত্রেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে। এ কারণেই আপাত দৃষ্টিতে অল্প সময়ে বিলের পরিমাণ বেশি বলে মনে হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ফিরোজ কবিরকে অচেতন ও লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় স্কয়ারে নিয়ে আসা হয়। তার মুখ, নাক ও প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত হচ্ছিল। সেখানে ভর্তির সময়ই তাকে চিকিৎসকরা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম, সেপটিক শক, একিউট কিডনি ইনজুরির রোগী বলে শনাক্ত করে। তাকে এজন্য লাইফ সাপোর্টের সর্বোচ্চ সাপোর্ট দিতে হচ্ছিল। এছাড়াও তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনী সব ব্যবস্থা এবং ওষুধ হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা হয়।
ফিরোজের স্বজনেরা বিভিন্ন অজুহাতে মোট বিলের এক লাখ ৮৬ হাজার ৪৭৪ টাকার মধ্যে মাত্র ৫৭ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন বলেও দাবি করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এদিকে বিলের বিষয়টি নিয়ে রোববার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তদন্ত শুরু করে। সোমবার শুনানির কথা থাকলেও মঙ্গলবার শুনানির হবে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।