আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সারা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়ানো করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের উহানে গৃহবন্দী অবস্থায় সেদ্ধ আপেল খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন ভারতের এক নাগরিক। ৩০ বছর বয়সী ওই নাগরিকের নাম সাম্যকুমার রায়। তিনি বর্ধমানের কালীবাজার আমতলার বাসিন্দা বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ‘সংবাদ প্রতিদিন’ এর এক খবরে জানা গেছে।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে গণিতে পোস্ট ডক্টরেট করার জন্য চীনের উহান বিশ্ববিদ্যালয়ে যান গবেষক সাম্যকুমার রায়। গত ডিসেম্বরে ৪৫ দিনের ছুটি নিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন সাম্য। গত ২১ জানুয়ারি উহানে ফিরে যান তিনি।
কিন্তু পোস্ট ডক্টরেট ডিগ্রি নিতে গিয়ে জীবনই বিপন্ন হয়ে পড়েছে সাম্যর। করোনা সংক্রমণের আতঙ্কে গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন। কার্যত অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে অবরুদ্ধদের। আপেল সেদ্ধ করে খেয়ে জীবন ধারণ করছেন এই গবেষক।
এই অবস্থায় তার মা-বাবা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করেছেন, চীন থেকে বাঙালি তথা ভারতীয়দের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হোক।
সাম্যকুমার রায় সাংবাদিকদের জানান, ‘এমনিতে এখানে এখন বেশ ঠাণ্ডা। তাপমাত্রা মাইনাস ১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। ফলে ঠাণ্ডা লেগে সর্দি-কাশি হচ্ছে নাকি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে এসব হচ্ছে,তা বুঝতে পারছি না। চিন্তা হচ্ছে। ক্লাস হচ্ছে না। হোস্টেলে ঘরের মধ্যেই বসে থাকতে হচ্ছে। ক্যান্টিনে খেতে যেতে পারছি না। কারণ, ওখানের খাবার থেকে যদি সংক্রমণ হয়ে যায়,সেই আশঙ্কা আছে। আমি একদম কাছের একটা মার্কেট থেকে সবজি,আপেল কিনে তা ঘরে এনে সিদ্ধ করে খাচ্ছি। এভাবেই ক্ষুধা মেটাচ্ছি।’
বর্ধমানের বাসিন্দা সাম্যকুমার রায় বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে গণিতশাস্ত্র নিয়ে বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন থেকে স্নাতক হন। এরপর আইআইএসসি, বেঙ্গালুরুতে স্নাতকোত্তর এবং আইআইটি,কানপুর থেকে পিএইচডি শেষ করেন। পোস্ট ডক্টরেটের জন্য পরীক্ষা দিয়ে চলে যান চীনের ইউহান বিশ্ববিদ্যালয়ে।
উহানে আটকা পড়েছে প্রচুর ভারতীয় শিক্ষার্থী। পরিস্থিতি এতটা সংকটজনক বুঝে চীন থেকে নাগরিকদের ফেরাতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।