
উত্তর আফগানিস্তানের বালখ প্রদেশের রাজধানী মাজার-ই-শরিফের কাছে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে অন্তত চারজন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে স্থানীয় তালেবান প্রশাসন। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূমি থেকে প্রায় ২৮ কিলোমিটার গভীরে।
স্থানীয় সময় রবিবার রাত ১টার দিকে (২০:৩০ জিএমটি) এ ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) সতর্ক করেছে, এতে বড় ধরনের প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
বালখ প্রদেশের তালেবান মুখপাত্র এক্স-এ এক পোস্টে জানান, শলগারা জেলায় অন্তত চারজন নিহত ও অনেক মানুষ আহত হয়েছেন। তবে বিবিসি এই তথ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।
এর আগে প্রাদেশিক কর্মকর্তা হাজি জায়েদ জানান, প্রদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সামান্য আহত ও হালকা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। বেশিরভাগ আহত ব্যক্তি আতঙ্কে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ায় আঘাত পেয়েছেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এএফপি জানায়, প্রায় পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষের বসবাস মাজার-ই-শরিফে। ভূমিকম্পের সময় বহু মানুষ আতঙ্কে ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসে, কারণ তারা আশঙ্কা করছিলেন ভবনগুলো ধসে পড়তে পারে।
বালখের তালেবান মুখপাত্র এক্স-এ আরো একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, যেখানে দেখা যায় শহরের ঐতিহাসিক নীল মসজিদের চত্বর জুড়ে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে রয়েছে।
এই ধর্মীয় স্থাপনাটিকে প্রথম শিয়া ইমামের সমাধিস্থল বলে মনে করা হয়।
এটি এখন এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান, যেখানে প্রতি বছর বহু ধর্মপ্রাণ মানুষ নামাজ আদায় ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন করতে আসে।
কাবুল পুলিশের তালেবান মুখপাত্র খালিদ জাদরান এক্স-এ লিখেছেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের আগস্টের শেষের দিকে আফগানিস্তানের পার্বত্য পূর্বাঞ্চলে ৬.০ মাত্রার এক ভূমিকম্পে এক হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
সে সময় ভূমিকম্পটি এতটা প্রাণঘাতী হয়েছিল কারণ ওই অঞ্চলের বেশিরভাগ বাড়িই কাদামাটি ও কাঠ দিয়ে নির্মিত ছিল, যা ধসে পড়ে বহু মানুষ ঘরের ভেতর আটকে পড়েছিল। আফগানিস্তান ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ, কারণ এটি ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



