নতুন প্রজাতির এক পেঁচার সন্ধান পেয়েছে বিজ্ঞানীরা। এ পেঁচার নাম রাখা হয়েছে এক বন্যপ্রাণী তত্ত্বাবধায়কের নাম অনুসারে। Bikegila নামক ঐ ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকায় তাকে সম্মানিত করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ পেঁচার নাম দেওয়া হয়েছে প্রিন্সিপ স্কোপস। পশ্চিম আফ্রিকার সৈকতের এক ক্ষুদ্র দ্বীপে এ পেঁচার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ওই দ্বীপের নামও প্রিন্সিপ। ১৯৯৮ সালে অনুমান করা হয়েছিল যে এ নতুন প্রজাতির পেঁচার এ দ্বীপে থাকতে পারে।
তবে বিজ্ঞানীরা ২০১৬ সালের আগে এ নিয়ে তেমন স্টাডি করেননি। Bikegila নামক এক ব্যক্তি পেঁচা শিকার করত ও বাণিজ্যের কাজে তা ব্যবহার করত। পরবর্তী সময়ে এ বাণিজ্য অবৈধ ঘোষণা করা হলে তারপর তিনি স্থানীয় ন্যাচারাল পার্কের রেঞ্জার হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেন।
Bikegila তার জ্ঞান বিজ্ঞানীদের সাথে শেয়ার করেছেন বলেই এ বিশেষ পেঁচার রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানান যে, এ বিশেষ প্রজাতির পেঁচা নিয়ে তার জ্ঞান অনেক সমৃদ্ধ।
Bikegila না থাকলে বিজ্ঞানীদের পক্ষে এ পেঁচা হয়তো খুঁজে পাওয়া সম্ভব হতো না। প্রিন্সিপ স্কোপস নামক পেঁচা ও দ্বীপ নিয়ে তার জ্ঞান বিজ্ঞানীদের অনেক সাহায্য করেছে। তিনি ১৯৯০ সাল থেকেই বিশেষ এ পেঁচা অনুসন্ধান করতেন এবং তা খুঁজে বের করতেন।
বহু বছর ধরেই তিনি বিজ্ঞানীদের এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছেন। ২০১৬ সালে এক বিজ্ঞানীদের দল এদিকে আসার পর তিনি তাদের পথ প্রদর্শন করেন। ওই বিজ্ঞানীরা শেষ পর্যন্ত এই বিশেষ পেঁচার ছবি তুলতে সক্ষম হয়।
বিজ্ঞানীরা এ দ্বীপ ও প্রাণীকুলের বৈচিত্র নিয়ে নতুন তথ্য পাওয়ায় বেশ সন্তুষ্ট। অবশ্য এসব পেঁচা অনেকদিন ধরেই দুনিয়াতে টিকে আছে। ইউরেশিয়ান স্কোপস পেঁচা এবং আফ্রিকান স্কোপস পেঁচা ইউরোপ, এশিয়া এবং আফ্রিকা জুড়ে অবস্থান করছে।
এ বিশেষ প্রজাতির পেঁচার অস্তিত্ব যেন টিকে থাকে সে ব্যাপারে ওই দ্বীপের ন্যাচারাল পার্ক দায়িত্ব নিয়েছে। তবে এটা অনেকের কাছে বিস্ময় মনে হয়েছে যে, বিজ্ঞানীরা এতদিন এ পেঁচা সম্পর্কে তেমন তথ্য জানতেন না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।