জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের (২১) ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। ময়নাতদন্তকালে তাঁর দেহে অসংখ্য জখমের চিহ্ন পেয়েছেন চিকিৎসকরা। বেশ কয়েকটা আঘাত ও রক্তক্ষরণে তিনি মা’রা গেছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
সোমবার বেলা পৌনে ২টার সময় ঢামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্ত করেন ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ।
ময়নাতদন্ত শেষে ডা. সোহেল বলেন, ‘আবরারকে পিটিয়ে হ’ত্যা করা হয়েছে। তাঁর শরীরে অনেক জখমের চিহ্ন রয়েছে।’
আবরারকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগে ওই হলের দুই শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। আটকদের নাম রাসেল ও ফুয়াদ। সোমবার সকালে তাদেরকে আটক করা হয়।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব হোসেন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে’।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের ১০১১ নং কক্ষ থেকে রোববার রাত আটটায় আবরার ফাহাকে ডেকে নিয়ে যায় হলেরই কয়েজন শিক্ষার্থী। পরে সোমবার রাত আড়াইটার দিকে হলের সিড়ির নিচে তার মৃ’তদেহ পাওয়া যায়।
পরে পুলিশ লা’শ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় তাকে হ’ত্যার অভিযোগ উঠেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।