Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home আবরারের ওপর নির্যাতনসহ সব পরামর্শ দেন বুয়েট ছাত্রলীগ সম্পাদক রাসেল
    অপরাধ-দুর্নীতি ক্যাম্পাস জাতীয় স্লাইডার

    আবরারের ওপর নির্যাতনসহ সব পরামর্শ দেন বুয়েট ছাত্রলীগ সম্পাদক রাসেল

    October 10, 2019Updated:October 10, 20198 Mins Read
    রাসেল
    বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল

    জুমবাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে কার কী ভূমিকা ছিল, তা বেরিয়ে আসছে। এ মামলায় গ্রেফতার ১৩ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এখন পর্যন্ত পাঁচজনের নাম পাওয়া গেছে, যারা সরাসরি আবরারের ওপর নির্যাতনে জড়িত ছিল। তবে সরাসরি নির্যাতন ছাড়াও তাকে ধরে আনা, মোবাইল ও ল্যাপটপ পরীক্ষা আর পরে তার নিস্তেজ দেহ নিয়ে দৌড়াদৌড়িতে আরও ২০-২৫ জন সংশ্নিষ্ট ছিল।

    দৈনিক সমকালের আজকের সংখ্যায় প্রকাশিত সাহাদাত হোসেন পরশ ও আতাউর রহমানের করা বিশেষ প্রদিবেদনে আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে কার কী ভূমিকা ছিল, তা বিস্তারিত উঠে এসেছে।

    নির্যাতনকারীদের মধ্যে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. অনিক সরকার একাই অন্তত দেড়শ’ বার আবরারকে আঘাত করেন। অনিক মারধরের সময় নিজের ভূমিকার বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আবরার একেক সময়ে একেক তথ্য দিচ্ছিলেন। এজন্য তার মাথা গরম হয়ে যায়। ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি তাকে বারবার মারছিলেন। বর্বরোচিত নির্যাতনের একপর্যায়ে আবরার যখন নিস্তেজ হয়ে পড়ছিলেন, তারা বলছিল- ‘ও ঢং ধরেছে।’ হামলাকারীদের নানা পরামর্শ দেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল। আবরার হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃতরা রিমান্ডে এ ঘটনায় তাদের প্রত্যেকের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। কয়েকজন ‘অনুতপ্ত’ হয়ে গোয়েন্দাদের এও বলেন, ‘ক্রসফায়ার নইলে ফাঁসি দিয়ে দেন। ওই হত্যার দায় নিয়ে বাঁচতে চাই না।’ একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে গতকাল এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এদিকে, আবরার হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলা ও সুরতহাল প্রতিবেদনের তথ্যে গরমিল পাওয়া গেছে।

    মোবাইলে ধর্মীয় গান দেখে সন্দেহ :আবরারের ওপর সরাসরি নির্যাতনে জড়িত ছিলেন বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা অনিক, মেহেদী হাসান রবিন, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ও ১৬ ব্যাচের ইফতি মোশাররফ সকাল, ছাত্রলীগের সদস্য ও ১৬তম ব্যাচের মুজাহিদুর রহমান। গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, রোববার রাত ৮টার দিকে আবরারের কক্ষে গিয়ে তাকে ডেকে আনেন রবিন। এ সময় আবরারকে মোবাইল ও ল্যাপটপ সঙ্গে নিতে বলেন তিনি। ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে তার মোবাইল-ল্যাপটপ পরীক্ষা করেন তারা।

    এ সময় আবরারের মোবাইলে কিছু গজলসহ ধর্মীয় গান পাওয়া যায়। এটা দেখে হামলাকারীরা বলতে থাকে, ‘তুই শিবির করিস।’ তবে আবরার জানান, শিবিরের সঙ্গে তার কোনো সংশ্নিষ্টতা নেই। ২০১৬ সালে তার মোবাইলে গান রেকর্ড করার সময় দোকানি অন্যান্য গানের সঙ্গে ধর্মীয় গানও দিয়েছে। এরপর আবরারের কাছে হলের অন্য কারা শিবিরের কর্মী, তা জানতে চায় তারা। ভয়াবহ নির্যাতনের মুখে আবরার হলের কয়েকজন ছাত্রের নাম জানান। তাৎক্ষণিকভাবে হামলাকারীরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, আবরার যাদের নাম বলছেন, তারা শিবিরের কর্মী নন। এর পর তাকে আরও নির্যাতন করা হয়।

    আগে থেকেই টার্গেট :হামলাকারীরা জানিয়েছে, শিবির সন্দেহে আবরারকে টর্চার সেলে নেওয়া হবে- এ পরিকল্পনা তাদের আগে থেকেই ছিল। তবে গ্রামের বাড়িতে থাকায় তাকে টর্চার সেলে নেওয়া সম্ভব হয়নি। রোববার বাড়ি থেকে ফেরার পরপরই তার ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়। প্রথমে মারধর শুরু করেন অনিক। ক্রিকেট খেলার স্টাম্প ও মশারি টানানোর লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয় আবরারকে। এরপর মুজাহিদ, সকাল ও রবিনও তাকে দফায় দফায় মারতে থাকেন। মারধরের একপর্যায়ে অনিক ফোন করেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি রাসেল ও মুন্নাকে। অনিক তাদের জানান, ‘আবরারের শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। কোনো নড়াচড়া করছে না।’ তখন রাসেল ও মুন্না অনিককে বলেন, ‘ও ঢং ধরেছে।’ এরপর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে আবরারকে মুন্নার ‘২০০৫’ নম্বর কক্ষে নেওয়া হয়।

    হলে হলে আতঙ্ক :গতকাল সরেজমিনে বুয়েটে গিয়ে দেখা যায়, আবরার হত্যার বিচার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চললেও তাদের মধ্যে আছে অজানা শঙ্কা। নাম প্রকাশে ভীত বুয়েটের একাধিক ছাত্র জানান, দীর্ঘদিন ধরে বুয়েটের বিভিন্ন হলে র‌্যাগিং বা শিবিরকর্মী সন্দেহে অনেকেই মারধরের শিকার হয়ে আসছে।

    শেরেবাংলাসহ বিভিন্ন হলে গিয়ে দেখা যায়, ভেতরে টানানো রয়েছে ব্যানার। তাতে লেখা, ‘র‌্যাগিং ইজ ক্রাইম’। কেউ র‌্যাগিংয়ের শিকার হলে কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করলে প্রতিকার পাওয়া যাবে, এমন বেশ কিছু মোবাইল নম্বরও ওই ব্যানারে রয়েছে। তাতে প্রভোস্টের নম্বর দেওয়া আছে।

    তবে হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, অনেকে র‌্যাগিংয়ের শিকার হলেও ‘বড় ভাইদের’ ভয়ে তাদের নাম প্রকাশ করেন না। আবার যারা র‌্যাগিংয়ের সঙ্গে জড়িত, তাদের অনেকে র‌্যাগিং প্রতিরোধ কমিটিতেও রয়েছেন। শেরেবাংলা হলের নিরাপত্তারক্ষী নুরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, আবরারের ঘটনায় বুধবার থেকে সংবাদকর্মীসহ কোনো বহিরাগতকে হলে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এদিকে রিমান্ডে থাকা আসামিরা পুলিশকে জানায়, বুয়েটে সিনিয়র-জুনিয়র ব্যাচের মধ্যে কমান্ড কন্ট্রোল শৃঙ্খলা বাহিনীর চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। সিনিয়রদের নির্দেশনা অমান্যকে তারা ‘গুনাহর’ মতো বিবেচনা করে। রিমান্ডে থাকা সকাল জানান, আবরার তার নটর ডেম কলেজের ছোট ভাই। তার মৃত্যুর দায় নিয়ে তিনি আর বাঁচতে চান না। তাই ফাঁসি বা ক্রসফায়ার চান সকাল। তবে অনিক বলেছেন, আবরারের ঘটনায় জড়ানো ছিল তার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। একবারের জন্য এই ভুল শোধরানোর সুযোগ চান তিনি।

    এজাহার আর সুরতহালে অসঙ্গতি :আবরারের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদনে চকবাজার থানার উপপরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন লিখেছেন, ৭ অক্টোবর ভোর ৪টা ৭ মিনিটে বেতারযন্ত্রে তিনি জানতে পারেন, বুয়েটের শেরেবাংলা হলে সমস্যা হয়েছে। থানা থেকে তাকে তা দেখার জন্য বলা হয়। তিনি ওই সংবাদের ভিত্তিতে ফোর্স নিয়ে হলে গিয়ে উত্তর গেটের বারান্দায় একটি স্ট্রেচারে আবরারের মৃতদেহ পান। এরপর হলের সিকিউরিটি ইনচার্জ এ কে আজাদের শনাক্ত অনুযায়ী সুরতহাল তৈরি করেন।

    পুলিশের এই কর্মকর্তা সুরতহালে উল্লেখ করেছেন, প্রকাশ্য ও গোপন তদন্তে তিনি জানতে পারেন, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা অজ্ঞাত কারণে আবরারকে মারধর করে গুরুতর জখম ও অচেতন অবস্থায় শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির মাঝামাঝি ফেলে রেখে যায়। পরে খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে বুয়েটের চিকিৎসক মোহাম্মদ মাশুক এলাহী আবরারকে মৃত অবস্থায় পান।

    সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে আবরারের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে (মর্গে) পাঠিয়েছে। কিন্তু ৭ অক্টোবর রাতে আবরারের বাবা বরকতুল্লাহর দায়ের করা মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, আবরারকে কয়েকজন ছাত্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুরতহাল প্রস্তুতকারী উপপরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন বলেন, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ যে অবস্থায় পেয়েছেন, তাই উল্লেখ করেছেন। তিনি সরকারি গাড়িতে (পুলিশের গাড়ি) আবরারের লাশ মর্গে পাঠিয়েছেন। মামলার এজাহারে কী লেখা রয়েছে, তা তার জানার কথা নয়।

    অবশ্য নিহত আবরারের এক স্বজন জানিয়েছেন, আবরারের বাবা গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায় থাকেন। তিনি তো আসামিদের চিনতেন না, কীভাবে কী হয়েছে, তাও জানতেন না। ফুটেজ দেখে, ছাত্র ও হল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ আসামি চিহ্নিত করে এজাহার করেছে। আবরারের বাবা বাদী হিসেবে সেখানে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

    সুরতহাল ও এজাহারে এমন অসঙ্গতির ফলে মামলার বিচার কার্যক্রমে কোনো প্রভাব পড়বে কি-না জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, কোনো হত্যা মামলায় সুরতহাল প্রতিবেদন ও এফআইআর (এজাহার) গুরুত্বপূর্ণ। এ দুটির মধ্যে সমন্বয় না থাকলে, অসঙ্গতি থাকলে মামলার মেরিটে প্রভাব পড়ে। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা ঘটনার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করবেন, সুযোগ নেবেন। কারণ বিচারক তো কাগজপত্রের ভিত্তিতে রায় দেবেন। বিষয়গুলো মামলা রেকর্ডকারী কর্মকর্তাদের দেখা উচিত ছিল। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও সতর্ক থাকতে হবে।

    সব পরামর্শ দেন রাসেল, লাশ সরানোর চাপও দেন তিনি :শেরেবাংলা হলের একাধিক শিক্ষার্থী ও তদন্তসংশ্নিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলের নির্দেশেই আবরারকে তার রুম থেকে ২০১১ নম্বর রুমে ডেকে নেওয়া হয়েছিল। আবরারের ওপর হামলার নেপথ্যে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া ছাড়াও অন্য কারণ খুঁজে দেখছে তদন্ত সংস্থা ডিবি। এরই মধ্যে তদন্তসংশ্নিষ্টরা জানতে পেরেছেন, ক্যান্টিনে খাবার নিয়েও রাসেলের সঙ্গে আবরারের তর্ক হয়েছিল।

    তদন্তসংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, আবরারকে মারধরের পর হামলাকারীরা রাসেলকে পরিস্থিতি জানায়। তখন তিনি নিজের কর্মীদের বলেন, ও অভিনয় করছে। আরও মারতে হবে। মারধরের এক পর্যায়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বমি করে দেন আবরার। তখন রাসেল তাকে ওই রুম থেকে সরিয়ে ২০০৫ নম্বর কক্ষে নিতে বলেন। সেখানে আবরারকে সুস্থ করারও চেষ্টা হয়। জ্ঞান ফিরলে আবরারকে শিবিরকর্মী বলে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ারও পরামর্শ দেন রাসেল। এরপর নিজেই রাত দেড়টার দিকে চকবাজার থানায় ফোন দেন। তখন পুলিশ হলে গেলেও আবার তিনিই তাদের ঢুকতে বাধা দেন।

    চকবাজার থানার উপপরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন ওই রাতে শেরেবাংলা হলে যান। তিনি বলেন, ঝামেলার খবর পেয়ে থানা থেকে তাকে টহল ডিউটি দেওয়ার সময়ে ওই হলে যেতে বলা হয়। রাত সোয়া ২টার দিকে তিনি হলের অভ্যর্থনা কক্ষে যান। এরপর সাধারণ সম্পাদক রাসেলকে ফোন দেন। ওই সময় রাসেল তাকে বলেন, প্রভোস্ট ও প্রক্টর স্যারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তাদের অনুমতি ছাড়া হলে প্রবেশ করা যাবে না। পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, তিনি ভেতরে প্রবেশের অনুমতি না পেয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে টহল ডিউটিতে চলে আসেন।

    জানা গেছে, খবর পেয়ে পুলিশ হলে পৌঁছার আগেই আবরার মারা যান। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ায় হামলাকারীরা ভয়ে আবরারের লাশ পুলিশের কাছে তুলে দেয়নি। তখন বাধ্য হয়ে তারা প্রভোস্টকে খবর দেয়।

    ওই রাতের ঘটনার বিবরণ দিয়ে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, খবর পেয়ে রাত পৌনে ৩টার দিকে প্রভোস্ট ও সহকারী প্রভোস্টের সঙ্গে তিনি শেরেবাংলা হলে যান। সেখানে আবরারের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরই কিছু ছেলে সেখান থেকে লাশ নিয়ে যেতে চাপ দেয় তাদের।

    ছাত্র পরিচালক বলেন, সেখানে অনেক ছাত্রই ছিল। এর মধ্যে তিনি শুধু ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেলকে চেনেন। রাসেলও তাকে লাশ সরিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ দেয়। কিন্তু তিনি সাফ জানিয়ে দেন- এটা পুলিশ কেস, পুলিশ না আসা পর্যন্ত তা সম্ভব নয়। এরপর প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা এসে চকবাজার থানায় ফোন দিলে পুলিশ কর্মকর্তারা আসেন।

    বুয়েটের চিকিৎসক মোহাম্মদ মাশুক এলাহী জানান, তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন, আবরার আগেই মারা গেছে। পুলিশ তার পরনের ট্রাউজারের একটা অংশ খুলে পিটুনির অসংখ্য জখম পায়। কিন্তু বারান্দায় পুরো শরীর চেক করা সম্ভব ছিল না। এজন্য আবরারের লাশটি হলের ক্যান্টিনে নিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে পুলিশ।

    দুই পরিবারের দাবি : এদিকে আবরার হত্যায় ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন তার মা কুলসুমা আক্তার শেলি। তিনি বলেন, ঘটনার রাতে চুনারুঘাটে নিজ এলাকায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিল মুন্না। তাই ভিডিও ফুটেজেও তার ছেলের ছবি নেই। এছাড়া বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলের বাবা রুহুল আমিন দাবি করেছেন, তার ছেলে রাসেল ষড়যন্ত্রের শিকার। সে নির্দোষ। সিসিটিভির ফুটেজে তার ছেলেকে দেখা যায়নি।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    Related Posts
    প্রেস সচিব

    সরকার কত টাকার সম্পদ জব্দ করেছে, জানালেন প্রেস সচিব

    May 19, 2025
    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

    সাড়ে ১০ হাজার হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত সরকারের

    May 19, 2025
    এমডি ওয়াসেক মো. আলীসহ

    ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৩৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

    May 19, 2025
    সর্বশেষ সংবাদ
    শ্রীলঙ্কায় ওয়ালটন ব্র্যান্ডের কার্যক্রমের সূচনা
    শ্রীলঙ্কার বাজারে ওয়ালটনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা: বৈশ্বিক ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডের নতুন পদক্ষেপ
    প্রেস সচিব
    সরকার কত টাকার সম্পদ জব্দ করেছে, জানালেন প্রেস সচিব
    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
    সাড়ে ১০ হাজার হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত সরকারের
    এমডি ওয়াসেক মো. আলীসহ
    ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৩৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
    ইসলামী ব্যাংকে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে ফ্রিজ জিতলেন ৩ গ্রাহক
    চীনা-পর্যটন-দিবস
    চীনা পর্যটন দিবস উদযাপন করল চীনা দূতাবাস ও আটাব
    এমপিওভুক্ত
    এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ ২১ মে
    জুলাই যোদ্ধাদের
    আ.লীগ কার্যালয়ে আরও বড় ব্যানার জুলাই যোদ্ধাদের
    কাল থেকে দারাজের ৬.৬ বিগ ঈদ সেল শুরু, থাকছে পুরস্কারের চমক
    বিকাশ পেমেন্টে ঈদের কেনাকাটায় ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট-ক্যাশব্যাক
    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.