বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় পেছানোয় অঝোরে কেঁদেছেন আবরারের মা রোকেয়া খাতুন।
রবিবার (২৮ নভেম্বর) ছেলে হত্যার রায় শোনার অপেক্ষায় সকাল থেকেই সব কাজ শেষ করে টিভির পর্দার সামনে বসেছিলেন আবরারের মা। দুপুর ১২টায় টিভির খবরের শুরুতেই আবরারের খবর দেখে চোখে পানি ধরে রাখতে পারেননি তিনি। টিভিতে ছেলের হত্যাকারীদের পুলিশ আদালতে নিয়ে যচ্ছে দৃশ্যটি দেখেই অঝোরে কাঁদতে থাকেন রোকেয়া খাতুন। এসময় তার পাশে বসা ছিলেন আবরারের ছোটভাই আবরার ফাইয়াজ, কাকা আমিরুল ইসলাম, মামা আব্দুল কাদের ও কাকি ও মামি।
সোয়া ১২টার দিকে আবরারের ছোটভাই ফাইয়াজের মোবাইলে ফোন আসে বাবা বরকত উল্লাহর। ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে আবরারের বাবা জানান রায় ঘোষণা হচ্ছে না। আগামী ৮ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা হবে।
এ সময় রোকেয়া খাতুন বলেন, আবরার হত্যা ছিল স্মরণকালের ভয়াবহ নিকৃষ্টতম মৃত্যু। এজন্য সারা দেশবাসী রায়ের দিকে তাকিয়ে ছিল। হয়তো কোনো সমস্যার কারণে আদালত আজ রায় দেননি। তবুও আমি আদালতের ওপর সম্মান রেখেই বলছি, আর যেন রায়ের তারিখ পেছানো না হয়।বড় আশা করছিলাম আজ আবরার হত্যার রায় হবে। খুনিদের উপযুক্ত শাস্তির কথা শুনব; কিন্তু রায় না হওয়ায় আমরা সাংঘাতিক কষ্ট পেলাম।
তিনি আরো বলেন, আসামিদের কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার, যাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর এ ধরনের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত না হয়। তিনি প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকের প্রতি উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।