জুমবাংলা ডেস্ক : আবরার ইস্যুতে গোটা দেশ এখন উত্তাল। হত্যাকাণ্ডের দিন থেকেই আন্দোলনে যোগ দিয়েছে বুয়েটের হাজার হাজার শিক্ষার্থী। ছাত্র রাজনীতি বন্ধ সহ দিয়েছে ১০ দফা দাবি। যার সবগুলোই নীতিগতভাবে মেনে নিয়েছে বুয়েট প্রশাসন।
বুয়েটে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সবার নজরে আসেন একজন মেয়ে শিক্ষার্থী। যার বলিষ্ঠ কণ্ঠের বাহবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টুঁ মারলেই পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন গ্রুপে তার ভূয়সী প্রশংসা করে দেয়া হচ্ছে স্ট্যাটাস। সেরকমই একটি লিখা পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘বুয়েটের আবরার ইস্যুতে যতগুলো রিপোর্ট দেখেছি, সেখানে উচ্চস্বরে কেবল একজন বুয়েট ছাত্রীর শব্দ শুনি। পুলিশের চোখে চোখ রেখে বলতেছে, আঙ্গুল তুলে কেন কথা বলতেছেন আমাদের সাথে? বুয়েটের শেরে বাংলা হলে পুলিশ প্রবেশের পর সকল ছাত্র-ছাত্রী সম্মিলিত ভাবে পুলিশকে হল থেকে বের করে দেয়। সেখানে এই মেয়ের সাহসী উচ্চারণ- কার অনুমতি নিয়ে আপনারা আমাদের হলে প্রবেশ করেছেন?’
‘গতকাল ভিসিকে বলতেছে,-আপনার ছাত্রকে মেরে ফেললো আপনি ঘরে বসে আছেন। আপনি কেমন ভিসি ক্যাম্পাসে আপনার ছাত্রের জানাজা হচ্ছে কিন্তু আপনি উপস্থিত থাকেন না?’
‘আজকে বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালককে প্রশ্ন করতেছে, -স্যার, আপনার ছাত্রদের কে ধরে এনে পিটিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে,আপনি কিসের ছাত্র কল্যাণ দেখেন? কী অদ্ভুত একটা শক্তি এই বাচ্চা মেয়েটার কণ্ঠে। ও ভুয়া উচ্চারণ শুরু করে, বুয়েটের সমগ্র ক্যাম্পাস ভুয়া ধ্বনিতে প্রকম্পিত হতে থাকে।’
‘মেয়েটার নাম জানি না। এসব অদম্য সাহসী মানুষের নাম জানারও দরকার হয় না। কিছু মানুষের ‘ভোকাল’ তাঁর নতুন পরিচয় হয়ে উঠে। সময় এসব আড়ালে থাকা চেহারাকে নিজের প্রয়োজনে সামনে নিয়ে আসে। স্পার্ক রূপে, জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি রূপে অথবা হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার রূপে।।’
(ফেসবুক গ্রুপ থেকে সংগৃহীত)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।