জুমবাংলা ডেস্ক : সন্তান হারানোর শোক কিছুতেই ভুলতে পারছেন না আবরারের বাবা-মা। হত্যা মামলায় যারা আসামি, তাদের পরিবারের সদস্যরাও মেনে নিতে পারছেন না এমন নৃসংশতা। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
নাড়ি ছেড়া ধন, চলে গেছে না ফেরার দেশে। যাকে কোলে-পিঠে করে এত বড় করেছিলেন সেই মায়ের আর্তনাদ থামাবে কে? ইঞ্জিনিয়ারিং শেষে ভালো ক্যারিয়ার গড়বে ছেলে। দশজনের মুখে মুখে ফিরবে তার সুনাম। বাবার সেই স্বপ্ন ভেঙে খান খান।
আবরার আর ফিরবে না তার বাবা-মায়ের কাছে তবে তাকে যারা হত্যা করেছে, কী ভাবছে তাদের পরিবার?
হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল। গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সূর্যদিয়া রাংগারদিয়ায়। আবরার হত্যায় সন্তান জড়িত থাকার খবরে, বিমর্ষ মেহেদীর পরিবার। এমন নৃশংসতার বিষয় ভাবতেই পারছেন না তারা।
মেহেদীর বাবা বলছেন, আমার ছেলে এটার সাথে সম্পৃক্ত নয় আমি জানি, তারপরেও দোষী হলে বিচার হবে।
ফরিদপুর জেলার ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাবু বলেন, তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে আসলে সে দোষী কিনা। যদি সে সত্যি দোষী হয়ে তবে আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
দুই নম্বর আসামি ছাত্রলীগ বুয়েট শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতাসিম ফুয়াদের বাড়ি ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায়। আবরার হত্যার বিচার চাইছেন ফুয়াদের বাবাও।
চার নম্বর আসামি মেহেদী হাসান রবিন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলায়।
সাত নম্বর আসামি, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন। ছাত্রলীগ বুয়েট শাখার ক্রীড়া সম্পাদক তিনি। বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়ি এলাকায়। লোমহর্ষক ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতার খবরে, অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বাবা-মা।
তবে হত্যা মামলার বাকি আসামিদের পরিবারের অনেককেই তাদের বাড়িতে পাওয়া যায়নি। দুয়েকজনকে পাওয়া গেলেও কথা বলতে রাজি হননি তারা।
ভিডিও : চ্যানেল২৪
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।