জুমবাংলা ডেস্ক : বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলার ৪০তম সাক্ষ্যগ্রহণের দিন হঠাৎই বিচারকের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করলো ২২ আসামির আইনজীবী। বিচারপ্রক্রিয়ায় আসামিরা ন্যায়বিচার বঞ্চিত হবেন- এমন আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) আদালতে একযোগে অনাস্থা প্রকাশ করে আবেদন করে আসামির পক্ষের আইনজীবীরা।
আসামিপক্ষের এ আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে রাষ্টপক্ষ বলছে, মামলার বিচারকে বিলম্বিত করতেই আসামিদের এ কূটকৌশল।
৪০ তম সাক্ষী হিসেবে বৃহস্পতিবার আদালতে সাক্ষ্য দেন আলোকচিত্র বিশেষজ্ঞ কে এম নাজমুল ইসলাম। তার সাক্ষ্যগ্রহণের পরপরই হঠাৎ করে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতের প্রতি অনাস্থা আবেদন করেন।
তারা জানান, কারাগারে থাকা ২২ আসামি বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের কাছে ন্যায়বিচার না পাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাই তারা মামলাটি বিচারকাজ অন্য বিচারকের অধীনে করার আবেদন করেন।
আবেদনটি গ্রহণ করে আদালত আগামী ৬ ডিসেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেন। পাশাপাশি ওইদিন পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন নির্ধারণ করেন। এ ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক মন্তব্য করে রাষ্টপক্ষের আইনজীবী আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া জানান, আসামিরা বিচারকে বিলম্বিত করতেই এমন আচরণ করেছে।
আবরার হত্যা মামলায় গ্রেফতারদের মধ্যে ৮ আসামি হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিন আসামি এখনও পলাতক।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরে বাংলা হলে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় আবরারকে। পরদিন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর আদালতে ২৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় গোয়েন্দা পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।