বৈচিত্র্যময় আবহাওয়া জনজীবনে এক বিশেষ ছাপ ফেলে। যখন সকালে বৃষ্টির ফোঁটা পড়ে, আর বিকেলে রোদের তীব্রতা বেড়ে যায়, তখন মনেও মিশ্র অনুভূতির সঞ্চার হয়। এই মিশ্র আবহাওয়ার খবরটি বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয়গুলোর একটি, কারণ দেশের একাধিক অঞ্চলে একসাথে বৃষ্টি এবং তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
আবহাওয়ার খবর: দেশে বৃষ্টি ও তাপপ্রবাহ একসাথে
বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবারও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। বিশেষ করে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-একটি স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই পূর্বাভাস মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২৪ ঘণ্টার জন্য প্রযোজ্য।
Table of Contents
তবে বৃহস্পতিবার (৮ মে) থেকে দেশের কিছু অঞ্চলে শুরু হতে পারে তাপপ্রবাহ। রাজশাহী ও খুলনা অঞ্চল থেকে শুরু হয়ে তা পরে অন্যান্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে দেশের আবহাওয়া অনেকটা শুষ্ক হয়ে যাবে এবং তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে।
বুধবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পাবনার বাঘাবাড়িতে ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ২১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তাপমাত্রার এই পরিবর্তনের প্রভাব ও প্রস্তুতি
এই রকম দ্রুত পরিবর্তনশীল আবহাওয়ার মধ্যে জনসাধারণের প্রস্তুতি গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থ মানুষদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখা দরকার। বৃষ্টির সময় বৃষ্টির পানি থেকে দূরে থাকা এবং বজ্রপাতের সময় নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়া উচিত।
তাপপ্রবাহ শুরুর পর, প্রয়োজনে বাইরে যাওয়া সীমিত রাখা উচিত এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। আবহাওয়া অফিস থেকে নির্দেশিত সতর্কতা মেনে চলাও জরুরি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, অতিরিক্ত তাপমাত্রা শরীরের উপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে, যেমন হিট স্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন ইত্যাদি। এই পৃষ্ঠায় আপনি গরমে কিভাবে সুরক্ষা নেওয়া যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা পাবেন।
এদিকে আবহাওয়া বিভাগ থেকে প্রতিনিয়ত হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে। আগ্রহীরা সেগুলো অনুসরণ করতে পারেন। একইভাবে পূর্ববর্তী একটি প্রতিবেদনে দুই প্রাকৃতিক পরিস্থিতির সম্মিলনের ওপর বিশ্লেষণ দেওয়া হয়েছিল।
আবহাওয়া পরিস্থিতি ও কৃষি কার্যক্রম
এই আবহাওয়া সরাসরি কৃষি উৎপাদনের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। বৃষ্টির ফলে কিছু অঞ্চলে শস্যের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও, তাপপ্রবাহ আরও বড় হুমকি হতে পারে, বিশেষ করে ধান, শাকসবজি ও অন্যান্য মৌসুমী ফসলের জন্য। কৃষকরা যদি সময়মতো সতর্ক না হন, তবে তা উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতি বয়ে আনতে পারে।
তাই কৃষি বিভাগ থেকেও স্থানীয় কৃষকদের জন্য নির্দিষ্ট পরামর্শ প্রদান করা উচিত যাতে তারা বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারেন। এলাকাভিত্তিক পূর্বাভাস এবং পরামর্শ প্রদান করতে পারলে কৃষকদের সুরক্ষা ও উৎপাদন দুইই বজায় রাখা সম্ভব।
FAQ
- বুধবার বৃষ্টি কোথায় কোথায় হতে পারে?
রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-একটি স্থানে। - তাপপ্রবাহ কবে শুরু হতে পারে?
বৃহস্পতিবার (৮ মে) থেকে রাজশাহী ও খুলনা অঞ্চল থেকে শুরু হতে পারে। - বুধবার দেশের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কত ছিল?
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬.৫°C বাঘাবাড়িতে, সর্বনিম্ন ২১.৪°C তেঁতুলিয়ায়। - এই আবহাওয়ার প্রভাবে কী সমস্যা হতে পারে?
স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন হিট স্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন, বজ্রপাতজনিত দুর্ঘটনা। - কৃষিতে কী প্রভাব পড়বে?
তাপপ্রবাহ শস্যের উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। - সতর্কতার জন্য কী করা উচিত?
আবহাওয়া অফিসের সতর্কতা অনুসরণ ও পর্যাপ্ত পানি পান করা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।