বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে যখন তাপমাত্রা বাড়ে, তখন সাধারণত মানুষ অস্বস্তিতে ভোগে। তবুও আজকের আবহাওয়ার খবর দেশের মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার বার্তা নিয়ে এসেছে। আগামী পাঁচ দিনে বৃষ্টিপাত বাড়বে এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পাবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়ার খবর: আগামী ৫ দিনের পূর্ণাঙ্গ পূর্বাভাস
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ১০ জুনের সন্ধ্যা থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি এবং বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম, সিলেট, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগে এসব আবহাওয়াজনিত পরিবর্তন দেখা যাবে।
Table of Contents
১১ জুনের পূর্বাভাস
- সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে।
- রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গাতেও একই অবস্থা দেখা দিতে পারে।
- তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১২ জুনের পূর্বাভাস
- খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
- তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
১৩ ও ১৪ জুনের পূর্বাভাস
- ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর, চট্টগ্রাম ও অন্যান্য বিভাগে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।
- মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
- তাপমাত্রা আরও কমে আসতে পারে।
তাপপ্রবাহের বর্তমান অবস্থা
১০ জুনের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৪৯টি জেলার উপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। তবে আশার কথা হচ্ছে, আগামী দিনগুলোতে এর তীব্রতা কিছুটা কমে আসবে। বিশেষ করে নীলফামারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী সহ বিভিন্ন জেলায় তাপপ্রবাহের মাত্রা হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, যখন বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয় তখন তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি হলে মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি হলে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। এর উপরে উঠলে তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে গণ্য করা হয়।
ঝড়ের সম্ভাবনা
ঢাকা, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ী দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এই তথ্যগুলো অনুসরণ করলে বোঝা যায়, আগামী পাঁচ দিন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসছে। বৃষ্টি যেমন স্বস্তি দেবে, তেমনি তাপমাত্রা হ্রাস পেয়ে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে। বিস্তারিত জানতে আপনি আবহাওয়া অধিদপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ঘুরে দেখতে পারেন।
পরবর্তী কয়েকদিনের আবহাওয়ার খবর অনুযায়ী আপনার এলাকায় বৃষ্টি ও তাপমাত্রার পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত থাকুন। এটি কৃষিকাজ, যাতায়াত, স্বাস্থ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে আপনার সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
FAQs-
১. আগামী দিনে আবহাওয়ার পরিস্থিতি কেমন থাকবে?
আগামী পাঁচ দিনে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে এবং তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পাবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
২. কোন অঞ্চলগুলোতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি?
চট্টগ্রাম, সিলেট, ঢাকা ও খুলনা বিভাগে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
৩. তাপপ্রবাহ কি সম্পূর্ণভাবে কমে যাবে?
না, সম্পূর্ণভাবে না হলেও কিছু অঞ্চলে তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে।
৪. নদীবন্দরের সতর্ক সংকেত কেন দেওয়া হয়েছে?
দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কারণে সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে।
৫. বৃষ্টির ফলে কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে?
স্বস্তি আসবে, কৃষিকাজ উপকৃত হবে তবে বন্যা বা জলাবদ্ধতার আশঙ্কাও থাকতে পারে।
৬. কোথায় আরও তথ্য পাওয়া যাবে?
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বিস্তারিত পাওয়া যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।