বাংলাদেশের আকাশ আবারও মেঘলা। বাতাসে ভাসছে বৃষ্টির গন্ধ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে উঠে এসেছে এক নতুন জলছবি—মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। যারা রোদে পুড়ে ক্লান্ত, তাদের জন্য এটি যেন একটুখানি স্বস্তির বার্তা। আর কৃষকদের জন্য—এ এক আশীর্বাদ!
আবহাওয়ার খবর: কোন বিভাগে কেমন থাকবে আবহাওয়া
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগেও অনেক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এসব এলাকায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ার সঙ্গে বিদ্যুৎ চমকানো/হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
বিশেষ করে রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে, যা জনজীবনে সাময়িক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই নাগরিকদের প্রতি পরামর্শ—প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন এবং ছাতা কিংবা রেইনকোট প্রস্তুত রাখুন।
বৃষ্টির এই পূর্বাভাসের সঙ্গে সঙ্গে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে সম্ভাব্য প্রভাবও বেড়েছে। কৃষি খাতে বৃষ্টির ইতিবাচক দিক যেমন রয়েছে, তেমনি কিছু চ্যালেঞ্জও দেখা দিতে পারে। বর্তমানে আমন ধানের চারা রোপণের সময়, তাই এই বৃষ্টিপাত ফসলের জন্য খুবই উপযোগী হতে পারে।
অন্যদিকে শহরাঞ্চলে ভারি বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে, যা যাতায়াত ব্যবস্থাকে বিঘ্নিত করতে পারে। সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বেড়ে যায় এমন পরিস্থিতিতে, তাই সচেতন থাকা জরুরি।
তাপমাত্রার দিক থেকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। এটি বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জন্য আরামদায়ক হতে পারে, তবে ঠান্ডাজনিত রোগবালাই যেন না বাড়ে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
রংপুর বা ময়মনসিংহের মতো উত্তরের অঞ্চলে বৃষ্টির গুরুত্ব অনেক বেশি। কৃষিজমিতে নির্ভরশীল এ অঞ্চলে মৌসুমি বৃষ্টিপাত ফসল উৎপাদনের একটি প্রধান উৎস। একইভাবে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কাও থাকে। তাই স্থানীয় প্রশাসনের উচিত নির্দিষ্ট সতর্কতা জারি রাখা ও জনগণকে সচেতন করা।
রাজধানী ঢাকায় বর্ষার প্রভাবে ট্রাফিক জ্যাম, স্কুল বন্ধ এবং কর্মব্যস্ত মানুষের যাতায়াতে বাধা সৃষ্টি হতে পারে। তাই বিকল্প যাতায়াত পদ্ধতি, যেমন রাইড শেয়ারিং অ্যাপ বা বাসার কাছাকাছি অফিসে কাজের অনুমতি দেয়ার ব্যাপারে ভাবা যেতে পারে।
বৃষ্টির এই ধারা কেবল আবহাওয়ার একটি অবস্থা নয়, বরং একটি জাতীয় প্রস্তুতির ইঙ্গিতও। আবহাওয়া অধিদপ্তরের নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে স্থানীয় প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর আগাম প্রস্তুতি নিতে পারে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি আপডেট পাওয়া যায়।
আবহাওয়ার খবর এর উপর সচেতনতা ও তথ্যভিত্তিক প্রস্তুতি হলে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে আসে। তাই প্রতি নাগরিকের উচিত নিয়মিত আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানা এবং নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
আবহাওয়ার খবর জানতে আমাদের সাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য পেতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।