মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বৈঠক আগামী সপ্তাহেই অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে চাপ সৃষ্টির অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে দ্বিতীয় দফার নিষেধাজ্ঞা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যার আওতায় চীনকেও অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।
এ ধরনের মুখোমুখি বৈঠক হবে ২০২১ সালের জুনে জেনেভায় জো বাইডেন ও পুতিনের বৈঠকের পর প্রথমবারের মতো কোনো মার্কিন ও রুশ প্রেসিডেন্টের দেখা হওয়া। ওই বৈঠকের প্রায় আট মাস পর ইউক্রেনে সর্ববৃহৎ হামলা চালায় রাশিয়া, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় সামরিক আগ্রাসন হিসেবে বিবেচিত।
পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের পর আর কোনো বৈঠক হয়নি। বরং দুজনই প্রকাশ্যে একে অপরের প্রতি তাদের বিরূপ মনোভাবের ইঙ্গিত দিয়ে থাকেন।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে এক ফোনালাপে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি প্রথমে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং পরে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে পুতিন ও জেলেনস্কি উভয়ই উপস্থিত থাকবেন।
“খুব শিগগিরই একটি বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে,” সাংবাদিকদের বলেন ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানান, “রাশিয়ার পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে, এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উভয় রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গেই আলোচনার জন্য উন্মুক্ত।”
বুধবার (৭ আগস্ট) পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যা নিয়ে ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যাল-এ বলেন, এতে “উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি” হয়েছে। যদিও পরে তিনি বলেছিলেন যে তিনি এটিকে কোন অগ্রগতি বলবেন না।
ক্রেমলিনের এক উপদেষ্টাও বৈঠককে “গঠনমূলক ও কার্যকর” হিসেবে অভিহিত করেন।
এই কূটনৈতিক তৎপরতা এমন এক সময়ে চলছে যখন ট্রাম্প রাশিয়াকে শান্তিচুক্তির জন্য দুই দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে রাজি না হলে নতুন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।