অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশে বিনিয়োগ কমে গিয়েছে। দেশে বিদেশে বিনিয়োগ যেন বাড়ানো যায় সেজন্য সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। তারই অংশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুইটি কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে।
আবুধাবি পোর্টস গ্রুপ এবং মাসদার হলো এ দুটি বড় কোম্পানি। বাংলাদেশের বন্দরের বেহাল অবস্থা দূরীকরণ, উন্নয়ন সাধন, সঠিকভাবে পরিচালনা এবং প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সহায়তা দিবে তারা। তাছাড়া নবায়ন জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ রয়েছে তাদের।
জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের বিষয়টি এ বছরে ঘটবে নাকি আগামী বছর তা নিশ্চিত নয়। এ দুটি কোম্পানির প্রতিনিধি ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস এর সঙ্গে তার বাসভবন যমুনায় দেখা করেছেন। তারা উন্নয়ন এবং বিনিয়োগে অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
আবুধাবি পোর্টস গ্রুপ হলো চতুর্থ বৃহৎ বন্দর পরিচালনা ও লজিস্টিকস কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটি এক সপ্তাহেরও কম সময়ের ব্যবধানে আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ড, ডেনমার্কের এপি মুল্যার মায়ের্স্ক এবং সৌদি আরবের রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালের পর তারা বাংলাদেশের বন্দর ব্যবস্থাপনায় আগ্রহ প্রকাশ করলো।
বাংলাদেশে প্রস্তাবিত তিন বে টার্মিনালের মধ্যে একটি টার্মিনালকে আবুধাবি পোর্টস গ্রুপ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে যৌথ উদ্যোগে অর্থায়ন ও পরিচালনা এবং বহুমুখী টার্মিনাল ও কন্টেইনার রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে নির্মাণের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
প্রতিষ্ঠানটির সিইও আল মুতাওয়া বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের উষ্ণ মনোভাবের প্রশংসা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে তাদের বিনিয়োগ বাংলাদেশের বন্দরগুলোতে জাহাজ চলাচল বৃদ্ধি করতে সহায়ক হবে।
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ আসতে যাচ্ছে। এখানে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করা হবে। এর ফলে গড়ে উঠবে ২৫০ মেগাওয়াটের একটি সৌর বিদ্যুৎ প্রজেক্ট। মাসদার কোম্পানি বাংলাদেশে নতুন ধারণা উন্মোচনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে আগ্রহী। এ বৈঠকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া প্রধান উপদেষ্টা যেন ফেব্রুয়ারিতে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে অংশ নেয় সেজন্য ইনভাইট করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।