বিনোদন ডেস্ক: ছোট পর্দার কিংবদন্তি অভিনেতা আবুল হায়াত। ১৯৭০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি মেজ বোনের ননদ মাহফুজা খাতুন শিরিনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। এ দম্পতির দুই সন্তান বিপাশা ও নাতাশা। আজ আবুল হায়াতকে নিয়ে জানা অজানা কয়েকটি তথ্য দেয়া হল:
১. তাঁর জন্ম তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি আছে। অনেকে তাকে ২৫ জুন উইশ করেন। ভুলটা শুরু হয়েছিল স্কুলে ভর্তির সময়। সার্টিফিকেটে ২৫ জুন জন্মদিন, এটা সে পালন করে না। তার সঠিক জন্মদিন ২৩ ভাদ্র, সেই হিসাবে ৭ সেপ্টেম্বর।
২. মাত্র ১০ বছর বয়সে মঞ্চে অভিনয় শুরু করেন।
৩. সময়টা ১৯৪৭, ওপার বাংলার মুর্শিদাবাদের আদিনিবাস ছেড়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের চট্টগ্রামে পাড়ি জমান জনাব আব্দুস সালাম। সাথে স্ত্রী আর তিন বছরের ছোট্ট ছেলে আবুল হায়াত।
৪. চট্টগ্রামের মাটিতে বেড়ে ওঠা আবুল হায়াতের। শৈশব, কৈশর এবং যৌবনের খানিকটা চট্টগ্রামেই কাটে।
৫. ১৯৬৮ সালের কথা, সবেমাত্র বুয়েট থেকে পাশ করে বের হয়েছেন তিনি। ঢাকায় মেসে থাকতেন। এসময় তিনি জানতে পারেন নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় গ্রুপ থিয়েটারের একটি নাটক তৈরী হবে, যা টেলিভিশনে দেখানো হবে। আমেরিকা থেকে নাট্য নির্মাণের উপর মাস্টার্স করে আসা জিয়া হায়দার সেই নাটকের নির্দেশনা দিবেন। নাটকের নাম ইডিপাস। এই ইডিপাসের মাধ্যমেই টেলিভিশনে নাটকের যাত্রা শুরু করেন আবুল হায়াত।
৬. সুভাস দত্তের অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী (১৯৭২) সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আগমন।
৭. প্রয়াত অভিনেতা সালমান শাহর প্রথম সিনেমা ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’- এ বড় মির্জা চরিত্রে অভিনয় করেন আবুল হায়াত।
৮. অভিনয়ের স্বীকৃতি স্বরুপ ২০০৭ সালে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারে ভূষিত হন।
৯. অভিনয়ের পাশাপাশি লেখালেখির কাজেও দক্ষতার প্রমাণ রেখেছেন আবুল হায়াত। প্রথম আলো পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখতেন তিনি, নাম ‘এসো নীপবনে’। ১৯৯১ সালের বইমেলায় তার প্রথম বই ‘আপ্লুত মরু’ প্রকাশিত হয়।
১০. লেখাপড়ায় অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। স্কুল জীবন কাটে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট ও রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে মেট্রিকুলেশন (বর্তমান এসএসসি) পাস করে চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন। চট্টগ্রাম কলেজ থেকে আইএসসি পাস করে ১৯৬২ সালে ভর্তি হন বুয়েটে। বুয়েটে পড়ার সময় তিনি শেরেবাংলা হলে থাকতেন। এরপর বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট থেকে ১৯৬৭ সালে পাস করেন। ঠিক পরের বছরেই ঢাকা ওয়াসার প্রকৌশলী পদে চাকুরী জীবন শুরু করেন। কিন্তু মন টানতো অভিনয়। ১৯৭৮ সালে তাকে কর্মসূত্রে লিবিয়ায় পাঠানো হয়। বছর তিনেক পর দেশে ফিরে আসেন এবং ১৯৮২ সালে সরকারী চাকুরী থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর তিনি কনসালটেন্ট হিসেবে চাকরী করা শুরু করেন।
১১. ১৯৭০ সালে আবুল হায়াত বিয়ে করেন তার মেজো বোনের ননদ নাম মাহফুজা খাতুন শিরিন কে। এরপর ১৯৭১ আবুল হায়াত যুদ্ধের দুদিন আগে গুরুতর ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি হসপিটালের বেডে অচেতন অবস্থায় পরে থাকেন। সে সময় জন্ম নেয় তাঁর প্রথম সন্তান বিপাশা হায়াত। বিপাশাও জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মডেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। বিপাশার জন্মের প্রায় ৬ বছর পর আবুল হায়াত-শিরিন দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান নাতাশা হায়াতের জন্ম হয়। অভিনেতা তৌকির আহমেদ এবং অভিনেতা-মডেল তারকা শাহেদ শরীফ খান হচ্ছেন আবুল হায়াতের দুই জামাতা।
১২. মঞ্চে তাঁর প্রিয় তিনটি নাটক ‘বাকি ইতিহাস’, বাদল সরকারের রচনায় নির্দেশনা দিয়েছিলেন আলী যাকের। আসাদুজ্জামান নূরের নির্দেশনায় ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’ ও জিয়া হায়দারের নির্দেশনায় সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর ‘বহিপীর’। সেরা তিন টিভি নাটক হুমায়ূন আহমেদেরই দুটি- ‘খেলা’ ও ‘একা একা’ , আরেকটা আতিকুল হক চৌধুরীর ‘আগন্তুক’ ধারাবাহিকের মধ্যেও হুমায়ূন আহমেদের দুটি ‘অয়োময়’ ও ‘বহুব্রীহি’ আরেকটা নিজের পরিচালনায় ‘জোছনার ফুল’। প্রিয় চলচ্চিত্র, ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’,‘জীবনের প্রথম ছবি ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ও ‘জয়যাত্রা’।-বাংলা ইনসাইডার
কোন নায়িকা ৫ ফুট আবার কেউ ৬ ফুট!টলিউডের সেরা ১০ অভিনেত্রীর উচ্চতা জেনে নিন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।