বিনোদন ডেস্ক : বাংলাদেশের লোক গানের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন শিল্পী আব্দুল আলীম। তিনি লোকসংগীতকে অবিশ্বাস্য এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। এবার তাঁর প্রয়াণ দিনে তাঁকে স্মরণ করেই গাইবেন আব্দুল আলীমের দুই পুত্র আজগর আলীম ও জহির আলীম।
১৯৩১ সালে ২৭ জুলাই ভারতের মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন আব্দুল আলীম। এ শিল্পী ১৯৭৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যান। তাঁর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হবে ৫ সেপ্টেম্বর।
গুণী এ শিল্পীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চ্যানেল আই ঐদিন সকাল সাড়ে ৭টায় স্টুডিও থেকে সরাসরি প্রচার করবে তাঁরই দুই পুত্র আজগর আলীম ও জহির আলীমের অংশগ্রহণে বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠা অনুষ্ঠান ‘গানে গানে সকাল শুরু’। প্রায় দেড় ঘণ্ঠাব্যাপি এ অনুষ্ঠানে তাঁর সন্তানরা তাদের বাবার গানের বিশাল ভান্ডার থেকে গান পরিবেশন করেন।
বাল্যকাল থেকেই আব্দুল আলীম সংগীতের প্রবল অনুরাগী ছিলেন। অর্থনৈতিক অনটনের কারণে কোনো শিক্ষকের কাছে গান শেখার সৌভাগ্য তার হয়নি। তিনি অন্যের গাওয়া গান শুনে গান শিখতেন, আর বিভিন্ন পালা পার্বণে সেগুলো গাইতেন। এভাবে তিনি বেশ জনপ্রিয়তা পান। দেশভাগের পর আব্দুল আলীম ঢাকা এসে বেতার-শিল্পীর মর্যাদা লাভ করেন। এখানে বেদারউদ্দীন আহমদ, ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খসরু, মমতাজ আলী খান, আব্দুল লতিফ, কানাইলাল শীল, আব্দুল হালিম চৌধুরীর কাছে তিনি লোকসংগীত ও উচ্চাঙ্গ সংগীতে পারদর্শী হয়ে উঠেন। মাত্র ১৩ বছর বয়সে ১৯৪৩ সালে আব্দুল আলীমের গানের প্রথম রেকর্ড হয়। রেকর্ডকৃত গান দুটি হল ‘তোর মোস্তফাকে দে না মাগো’ এবং ‘আফতাব আলী বসলো পথে’।
১৯৫৬ সালে আব্দুল আলীম বাংলাদেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ এ প্লেব্যাক করেন। ‘সুজন সখী’র প্লেব্যাকের জন্য ১৯৭৪ সালে সেরা পুরুষ প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯ ৭৭ সালে আব্দুল আলীমকে মরণোত্তর ‘একুশে পদক’ এবং ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ সরকার স্বাধীনতা দিবসে ‘স্বাধীনতা পদক’ প্রদান করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।