একদিনের ব্যবধানে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ফলে দিনাজপুরের হিলির খুচরা বাজারে ম্যাজিকের মতো কমেছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। দেশি ভালো মানের পেঁয়াজ প্রকারভেদে কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে ৯০ থেকে ১০০ টাকা, দেশি মুড়ি কাটা পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৩০ টাকা কমে ৭০ এবং ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে হিলির পেঁয়াজের বাজার ঘুরে এই তথ্য পাওয়া যায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে আমদানির কারণে দেশের বিভিন্ন মোকামে দাম কমেছে। এর ফলে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মাঝে।
হিলির বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা মাজহারুল ইসলাম মানিক বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির কারণে হিলির বাজারে কমেছে দাম। এতে করে আমাদের সাধারণ ক্রেতাদের কিছুটা সুবিধা হয়েছে। কারণ, দুই দিন আগে মুড়ি কাটা পেঁয়াজ ১১০ টাকা কেজি দরে কিনতে হয়েছিল, কিন্তু আজ সেই মুড়ি কাটা পেঁয়াজ মাত্র ৭০ টাকা কেজি দরে কিনলাম। অপর দিকে দেশি ভালো মানের পেঁয়াজ হিলির বাজারে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করার দাবি জানান ক্রেতারা।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা রায়হান কবির বলেন, দেশের বিভিন্ন মোকামে দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে। বর্তমানে মুড়ি কাটা পেঁয়াজ ৭০ টাকা এবং দেশি ভালো মানের পেঁয়াজ প্রকারভেদে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সেই সঙ্গে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তারা কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করছেন। ভারত থেকে আমদানি
স্বাভাবিক থাকলে আরও দাম কমে আসবে বলেও জানান এই পেঁয়াজ বিক্রেতা।
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত চারজন আমদানিকারক ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। তারা হলেন, রবেল ইন্টারপ্রাইজ, শাহাজান আলী পাইকার, এমআর টেড্রার্স এবং রকি টেড্রার্স।
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, গতকাল রবিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ১টি ভারতীয় ট্রাকে ৩০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই স্থলবন্দর দিয়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



