ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি: চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় প্রয়োজনের তুলনায় বৃষ্টিপাত কম হচ্ছে। লোডশেডিংয়েও ব্যাহত হচ্ছে সেচ। এ অবস্থায় কপালে ভাঁজ পড়েছে আমনের চাষিদের।
পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামের আবুল কালাম বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় এবং লোডশেডিংয়ের কারণে আমনের খেতে ঠিকমতো সেচ দেওয়া যাচ্ছে না। এতে খরতাপে জমি শুকিয়ে যাচ্ছে।
আমনের মৌসুমে সাধারণত বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু এবার ফরিদগঞ্জসহ সারা দেশেই প্রয়োজনের তুলনায় কম বৃষ্টি হচ্ছে।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নে ৮ হাজার ৩২৮ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। কিন্তু পানির অভাবে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। বাকি জমিতে আমনের চাষ অনিশ্চিতি হয়ে পড়েছে।
রূপসা উত্তর এলাকার মো. মিজান বলেন, এবার মৌসুমের শুরু থেকেই তেমন বৃষ্টির দেখা নেই। কিছু দিন আগে অল্প পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছিল। সেই পানি দিয়ে নিচু জমিতে আমনের চারা রোপণ করেছিলেন। এখন পানির অভাবে চারাগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় আর কোনো জমিতেও চারা রোপণ করা যাচ্ছে না।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, ফসলের মাঠ খাঁ খাাঁ করছে। খেতে পানি নেই। শুকিয়ে গেছে। পানির অভাবে চারা হলুদ রং ধারণ করেছে।
কয়েকজন কৃষক জানান, অনেক কৃষক জমির চারা বাঁচাতে বিদ্যুৎচালিত যন্ত্রের মাধ্যমে জমিতে সেচ দিচ্ছেন। কিন্তু লোডশেডিংয়ের এর কারণে তাতেও বিঘ্ন ঘটছে। আবার এভাবে সেচ দেওয়ায় খরচও বেশি পড়ছে।
জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশিক জামিল মাহমুদ বলেন, এ উপজেলায় আমন চাষের প্রায় ৭৫ ভাগ জমিতে চারা রোপণ করা শেষ হয়েছে। অনাবৃষ্টির কারণে বাকি জমিতে চারা রোপণ করা যাচ্ছে না। কৃষকেরা যেন নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ পান, সে জন্য লিখিতভাবে আবেদন করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।