আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নারদা মামলায় ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্রকে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে তুলে নিয়ে যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তারপর সেখানেই পৌঁছে যান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সকালে ওই তিন জনকে সিবিআই নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েই নিজাম প্যালেসে পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে সোজা উঠে যান নিজাম প্যালেসের ১৪ তলায়। পৌঁছে যান সিবিআইয়ের ডিআইজির ঘরের সামনে। সেখানেই তিনি চেয়ার নিয়ে বসে যান।
যতক্ষণ না ফিরহাদ হাকিমদের ছাড়া হবে ততক্ষণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নিজাম প্যালেস ছেড়ে কোথাও যাবেন না। ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্রকে গ্রেপ্তার করলে তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে বলে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি।
যতক্ষণ না সুব্রত মুখার্জিদের ছাড়া হবে ততক্ষণ নিজাম প্যালেসেই বসে থাকবেন বলে জানিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি।
তৃণমূল নেতা তথা আইনজীবি অনিন্দ্যকিশোর রাউত নিজাম প্যালেস থেকে সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন।
নারদ মামলায় জড়িত থাকার অপরাধে সিবিআই আধিকারিকরা গ্রেপ্তার করেছে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখার্জি এবং তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকে। এছাড়াও গ্রেপ্তার করা হয়েছে কলকাতার প্রাক্তন মহানাগরিক শোভন চ্যাটার্জিকেও। আর এই ঘটনায় গর্জে উঠেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। নবান্নে যাওয়ার আগেই তিনি ছুটে আসেন নিজাম প্যালেসে সিবিআই দপ্তরে।
২০১৬ সালের মার্চে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের ঘুষ নেওয়ার এক কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়। তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৭ সালে মার্চে এই নারদা কেলেঙ্কারি মামলার তদন্তের ভার দেওয়া হয় ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআইকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।