অসীম, অন্ধকার, রহস্যময়, সুন্দর—সবগুলো বিশেষণ মহাবিশ্বের জন্য সত্যি। মহাবিশ্বের কোনো শেষ নেই। তাই গ্রহ, নক্ষত্রও গুণে শেষ করা যাবে না। প্রতিনিয়ত মহাবিশ্বে তৈরি হচ্ছে নতুন গ্রহ, নক্ষত্র, গ্যালাক্সি। এ সব কিছু মিলিয়ে মহাবিশ্ব অসম্ভব সুন্দর। এ কারণেই হয়তো এর এত রহস্যময়তা।
পৃথিবীর বালুকণার চেয়ে নক্ষত্র বেশি
পৃথিবীতে ৫টি মহাসাগর ও দেড় লাখের বেশি নদী আছে। এসব সাগর, মহাসগর কিংবা নদীতে যতগুলো বালুর কণা আছে, মহাবিশ্বে আছে তারচেয়ে বেশি নক্ষত্র। সূর্য যেমন একটি নক্ষত্র। আসলে মহাবিশ্বে নক্ষত্র গুণে শেষ করা যাবে না। বিজ্ঞানীদের মতে, মহাবিশ্বে অন্তত এক বিলিয়ন ট্রিলিয়ন (বা ১০২১টি) নক্ষত্র আছে।
আমাদের কাছের ব্ল্যাকহোল ১,৫৬০ আলোকবর্ষ দূরে
বড় কোনো নক্ষত্র বিস্ফোরিত হলে সৃষ্টি হয় ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর। এই ব্ল্যাকহোলের মহাকর্ষ শক্তি এত শক্তিশালী যে এর থেকে কিছু পালাতে পারে না। সবকিছু টেনে নিয়ে যায় নিজের পেটের মধ্যে। এমনকি সেকেন্ডে ৩ লাখ কিলোমিটার বেগে ছুটে চলে আলোও বেরিয়ে আসতে পারে না ব্ল্যাকহোল থেকে।
সৌভাগ্যক্রমে পৃথিবী থেকে সবচেয়ে কাছের ব্ল্যাকহোলটি প্রায় ১ হাজার ৫৬০ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে। এক আলোকবর্ষ মানে আলো এ বছরে যতটা পথ অতিক্রম করে। ব্ল্যাকহোলটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘গাইয়া-বিএইচ১’। এটি সূর্যের চেয়ে ৮ হাজার ২০০ গুণ ভারী। চলতি বছর জুলাই মাসে হাবল স্পেস টেলিস্কোপের সাহায্যে এই ব্ল্যাকহোলটির সন্ধান পাওয়া গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।