একটি নতুন সমীক্ষা অনুযায়ী, আমাদের ছায়াপথের একটা সময় লক্ষ লক্ষ বছর ধরে বহির্জাগতিক সভ্যতা উপনিবেশ স্থাপন করেছিল। নাসার বিশেষজ্ঞদের মতে অন্যান্য সভ্যতা মিল্কিওয়ে ছায়াপথে থাকতে পারে।
এটা অবাক করে দেওয়ার মতো বিষয় যে, নাসা এলিয়েন সম্পর্কে গবেষণার তথ্য প্রকাশ করেছে। সর্বশেষ গবেষণায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া গেছে যে, কোটি কোটি বছর ধরে আমাদের ছায়াপথে এ ধরনের সভ্যতার অস্তিত্ব ছিল।
ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি এবং নাসার জেট প্রপুলসন ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা গবেষণায় সহযোগিতা করেছেন। আমাদের গ্যালাক্সি জুড়ে এলিয়েনের সংস্কৃতি বিদ্যমান ছিল। আমাদের ছায়াপথ অতীতে বিভিন্ন বহির্জাগতিক সভ্যতা ধারণ করেছে।
তবে অতীতের এসব সভ্যতা এখন আর নেই। এসব সভ্যতা ধ্বংসের সম্মুখীন হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন যে, মিল্কিওয়ে ছায়াপথ গঠনের প্রায় ৮০০০ বছর পরে এখানে বুদ্ধিমান প্রাণীর বিকাশ ঘটা উচিত ছিল।
এ ধরনের ঘটনা গ্যালাক্সির কেন্দ্র থেকে প্রায় ১৩ হাজার আলোকবর্ষ দূরে ঘটেছে। Xiang Cai, Jonathan H. Jiang, Kristen A. Fahy, এবং Yuk L. Yung এই উপসংহারে পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন পরিসংখ্যানগত মডেল ব্যবহার করেছেন। বুদ্ধিমান জীবনের উত্থানের সর্বোত্তম সময় নিয়ে কাজ করছে বিজ্ঞানীরা।
এটি বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে মিল্কিওয়ের সুপরিচিত অ্যাস্ট্রোফিজিকাল দিক এবং সেইসাথে অ্যাবায়োজেনেসিস প্রক্রিয়ার মতো বিষয়গুলি যা সাধারণত বিবেচনা করা হয় না। অ্যাবায়োজেনেসিস হলো নির্জীব পদার্থ থেকে জীবন সৃষ্টির প্রক্রিয়া। জীবন শুরু হওয়ার প্রক্রিয়া এভাবেই শুরু হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। সম্ভবত মানবজাতি মিল্কিওয়ে ছায়াপথের একমাত্র ইন্টেলিজেন্ট সিভিলাইজেশন ছিলো না। এ গবেষণার মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয় যে , আমাদের অন্য সভ্যতার সঙ্গে সহাবস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে।
সোর্স: ফোর্বস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।