বিনোদন ডেস্ক : অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের মধ্যে সম্ভাব্য বিচ্ছেদের গুজবের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে তাকে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে দেখা গেছে। এই ভিডিওতে তাকে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়েও কথা বলতে দেখা যায়। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ভিডিওটি এমন সময়ে প্রকাশ্যে এসেছে যখন বেশ কিছুদিন ধরেই দুজনের মধ্যে মনোমালিন্যের খবর চলছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে অভিষেককে বলতে শোনা যায়, ‘এই জুলাইয়ে আমি ও ঐশ্বরিয়া বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি’। ইনস্টাগ্রামে ভিডিওটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘ভিডিওটির সত্যতা আমি জানি না, এটি সত্যি না বানোয়াট। এখন পর্যন্ত দিনের পর দিন গুজব ছড়াচ্ছে, কেউ মুখ খোলেননি’।
তবে ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পরেই নেটিজেনরা ভিডিওটি এবং কণ্ঠস্বরটি ভুয়া বলে চিহ্নিত করেছেন এবং যারা এটি অনলাইনে শেয়ার করেছেন তাদের নিন্দা করেছেন।
একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এটি সত্যিই দুঃখজনক! নকল ভয়েস ব্যবহার করে এরকম একটি ভিডিও ঐশ্বরিয়া ও তার মেয়ের জন্য অস্বস্তিকর হতে যাচ্ছে।
অন্য একজন লিখেছেন, ‘এই ভিডিওটি কখনই আসল হতে পারে না। কিছু লোক রয়েছে যারা অভিষেকের সঙ্গে আপনার (ঐশ্বরিয়া) বিবাহবিচ্ছেদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে… আমরা সকলেই চাই যে আপনি আশীর্বাদ নিয়ে অভিষেকের সঙ্গে চালিয়ে যান। ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন হলেন কোটি কোটি হৃদয়ের মানুষ।’
চলতি বছরের শুরুর দিকে খবর বেরিয়েছিল যে, শাশুড়ি ও বর্ষীয়ান অভিনেত্রী জয়া বচ্চনের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে ঐশ্বরিয়া বচ্চন বাসভবন ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। এই গুজব তাদের সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা বাড়িয়েছে। গত জুলাইয়ে মুম্বাইয়ে অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন অভিষেক ও ঐশ্বরিয়া। সে সময় ঐশ্বরিয়া বচ্চন পরিবারের সঙ্গে ছবি না তোলায় চলমান জল্পনায় আরও ঘি ঢেলেছিল। অগস্ত্য নন্দার ‘দ্য আর্চিস’ সিনেমার শোতে শেষবার ঐশ্বরিয়া ও বচ্চন পরিবারকে একসঙ্গে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে বিয়ে করেন অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। ২০১১ সালের নভেম্বরে জন্ম নেয় তাদের কন্যাসন্তান আরাধ্যা বচ্চন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।