জুমবাংলা ডেস্ক : আগুনে সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনের ষষ্ঠ থেকে নবম তলা পর্যন্ত চারটি তলা পুড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। পুড়ে যাওয়া তলার প্রতিটি কক্ষের সব পুড়ে গেছে। কোথাও কোথাও দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়েছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পোড়া জিনিসপত্র। এসব পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা। ভবন পরিদর্শনের সময় আসিফ মাহমুদ সাখাওয়াত হোসেনকে বলেন, ‘আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে।’ এ সময় ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত আসিফ মাহমুদকে সান্ত্বনা দিয়েছেন।
উপদেষ্টাদের বাইরে অন্য কাউকে এই ভবনের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। আজ বৃহস্পতিবার পুড়ে যাওয়া সচিবালয়ে উপদেষ্টাদের সঙ্গে ভবনের প্রবেশ করেছেন, এমন দুজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
পুড়ে যাওয়া তলাগুলোতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের দপ্তর।
সাত নম্বর ভবনের ৬ তলায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়; ৭ তলায় স্থানীয় সরকার বিভাগ ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ; ৮ তলায় রয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের কিছু অংশ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কিছু অংশ রয়েছে। আর ৯ তলার পুরোটাই সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কার্যালয়।
৭ নম্বর ভবনের চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ভাঙা কাচের টুকরো। এই ভবনের দক্ষিণ পাশে কয়েকটি মরা কবুতর পড়ে আছে। পুরো ভবনটি ঘিরে রেখেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
তবে, সাত নম্বর ভবনের বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই ভেতরের চারটি তলা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ওই তলার যে অংশ দিয়ে ধোয়া বের হওয়ার সুযোগ পেয়েছে, বাইরে থেকে দেখলে শুধু ওই অংশগুলো পুড়ে গেছে বলে মনে হয়।
পুড়ে যাওয়া ফ্লোরগুলো থেকে আলামত সংগ্রহ করছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর সচিবালয়ের পুড়ে যাওয়া তলাগুলো পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।